নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুন৷৷ রাজ্যে আরও ৩৫ জনের দেহে করোনার সন্ধান মিলেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রবিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে এই ঘোষণা দেন৷ তিনি জানিয়েছেন এদিন ১১৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তার মধ্যে ৩৫ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ সংক্রমিতদের মধ্যে ৩১ জন বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ফিরেছেন৷ এছাড়া দুইজন চেন্নাই থেকে এবং একজন ব্যাঙ্গালুরু থেকে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী সোশাাল মিডিয়াতে ট্যুইট করে জানিয়েছেন, এদিন আরও ৮০ জন রোগী সুস্থ হওয়ায় কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে হাপানিয়া কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে ৪৩ জনকে, লালংসিংমুড়া কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে ৩০ জনকে, পিআরটিআই কোভিড কেয়ার সেন্টার গোমতী থেকে তিনজনকে, পিটিআই কোভিড সেয়ার সেন্টার ধলাই থেকে দুইজনকে এবং ভগৎ সিং কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে দুইজনকে৷ এখনও পর্যন্ত মোট ৭৫৯ জন সুস্থ হয়েছেন৷
অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা৷ অত্যন্ত পরিশ্রম করে সুস্থ করে তুলছেন রোগীদের৷ কখনো ট্রিটমেন্ট সেন্টার, কখনো কেয়ার সেন্টার, আবার কখনো নমুনা সংগ্রহ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা৷ এই অবস্থায় দায়িত্ব প্রতিপালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হন রাজধানীর কলেজ টিলা এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক অনামিকা গোস্বামী৷ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রিটমেন্ট সেন্টারে৷ সেখানে ১৪ দিন থাকার পর ফের নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর রবিবার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ নিজ এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয়দের তরফে প্রথম সারির এই যোদ্ধাকে বরণ করে নেওয়া হয়৷ হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্পস্তবক৷ ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে জানানো হয় কুর্নিশ৷
পাড়া-প্রতিবেশী স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের সহায়তায় সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন৷ একজন চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হতেই পারেন৷ কিন্তু তার জন্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ সবটাই সাহসিকতার সঙ্গে করা দরকার৷ স্বাস্থ্য দপ্তর রয়েছে৷ প্রতিটি মানুষের জন্য কাজ করছে বলে জানান সুস্থ হয়ে ফেরা চিকিৎসক অনামিকা গোস্বামী৷ দ্রুত কাজে ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি৷

