নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ মে৷৷ রাজধানী আগরতলা শহরে রামনগর গার্লস সুকলে বাম ছাত্র যুব সংগঠন আয়োজিত রক্তদান শিবিরের হামলা চালাল দুষৃকতীরা৷ দুষৃকতিকারীদের হামলায় রক্তদান শিবির ভন্ডুল হয়ে যায়৷ দুষৃকতী হামলায় সাত-আটজন বাম কর্মী সমর্থক আহত হন৷ আহতদের মধ্যে এস এফ আই-র রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেবকে চিকিৎসার জন্য আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়৷ শাসক দল বিজেপির দুসৃকতিকারীরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ৷ এ ব্যাপারে পশ্চিমা আগরতলা থানায় একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ তবে এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের সংবাদ নেই৷ এ ধরনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে৷
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে লকডাউন চলতে থাকায় রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে৷ রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বারবার রক্তদানে এগিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অন্যান্য সংগঠন গুলির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে৷ সেই আহবানে সাড়া দিয়ে এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের অঙ্গ হিসাবে বাম ছাত্র যুব সংগঠন রবিবার আগরতলায় রামনগর গার্লস সুকলে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে৷ রক্তদান শিবির এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিরোধী দলনেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ রক্তদান শিবির চলাকালে ৪০-৫০ জন দুষৃকতিকারী রামনগর গার্লস সুকলে ঢুকে রক্তদান শিবির ভন্ড করে দেয় এবং আয়োজকদের ওপর হামলা সংগঠিত করে বলে অভিযোগ৷
দুষৃকতীদের হামলায় এস এফ আই রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব, সিপিআইএম সদর বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক শুভাশিস গাঙ্গুলী এবং নারীনেত্রী ভট্টাচার্য সহ সাত-আটজন অল্পবিস্তর আহত হন৷ আহতদের মধ্যে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সন্দীপকে চিকিৎসার জন্য আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এদিকে হামলার পরপরই রক্তদান শিবির ভন্ডুল হয়ে যায়৷ রক্তদান শিবিরের মত সামাজিক কাজকর্ম চলাকালীন এ ধরনের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন মহল৷
অভিযোগ বিরোধীদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ সংঘটিত করার ক্ষেত্রে বাধা দানের পাশাপাশি সামাজিক কার্যকলাপেও বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন চলাকালে বিপন্ন মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বন্টন করতে গিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন৷ এবার রক্তদান শিবিরে হামলার ঘটনা সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে দুষৃকতীরা৷ এ ধরনের বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে৷ অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে বিরোধী দল বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷

