রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনে ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ মে৷৷ জম্পুই হিলসে রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন না দেওয়ার জন্য মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার আবেদন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন৷ বরং এ-বিষয়ে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা৷ ত্রিপুরাবাসীর স্বার্থ বজায় রেখেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে, বলে বিপ্লব৷


প্রসঙ্গত, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা রিয়াং শরণার্থী পুনর্বাসন ইস্যুতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে চিঠি লিখেছেন৷ এতে তিনি বলেছেন, ব্রু শরণার্থীদের কাঞ্চনপুর মহকুমা এবং জম্পুই হিলসে মিজো জনগোষ্ঠী বহুল এলাকায় পুনর্বাসনের বিষয়ে জানতে পেরেছি৷ তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, মিজো এবং ব্রু-দের মধ্যে জাতিগত উত্তেজনা রয়েছে৷ ফলে, ত্রিপুরায় ওই দুই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ত্রিপুরার পাশাপাশি মিজোরামেও প্রভাব ফেলবে৷ তাতে ব্রু শরণার্থীদের ত্রিপুরায় পুনর্বাসনের মহান উদ্দেশ্যে ব্যাঘাত ঘটবে৷ তাই ব্রু-দের অন্যত্র পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিচ্ছি৷ সাথে অনুরোধ রইল, ওই প্রস্তাব ত্রিপুরা সরকার বিবেচনা করবে৷ তাঁর যুক্তি, ১৯৯৮ সালে শাখাং হিলস এলাকায় উত্তেজনার কারণেই ব্রু-রা ত্রিপুরায় পালিয়ে গিয়েছিল এবং ওই জেলার চারটি গ্রাম জম্পুই হিলসের খুবই কাছে৷ এতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, কাঞ্চনপুর মহকুমা এবং জম্পুই হিলস ছাড়া অন্যত্র ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হলে গত ১৬ জানুয়ারি চুক্তির সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব৷


এ-বিষয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের সমস্ত সিদ্ধান্ত ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা নেবে৷ সে-ক্ষেত্রে তাঁদের কোথায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে তা ত্রিপুরা সরকার স্থির করবে৷ তবে, যুক্তরাষ্ঠীয় কাঠামোতে এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতেই পারেন৷ কিন্তু, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারই নেবে৷ তিনি কিছুটা বিরক্তির সুরে বলেন, সবদিক খতিয়ে দেখেই রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে৷ এক্ষেত্রে তাঁদের কোথায় এবং কীভাবে রাখব তা সম্পূর্ণই রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত৷ তাঁর সাফ কথা, ত্রিপুরাবাসীর স্বার্থ বজায় রেখেই রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *