নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মে৷৷ রাজ্যে আবারও করোনা দূরন্ত গতি ধরেছে৷ একদিনে চৌত্রিশ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ তাদের মধ্যে ২৮ জন করোনা সংক্রমিত হয়ে মুম্বাই থেকে ট্রেনে রাজ্যে ফিরেছেন৷ তাদের সংস্পর্শে আরও পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ এছাড়া, আমবাসায় জওহরনগরস্থিত বিএসএফের ৮৬ ব্যাটেলিয়ানের এক জওয়ানের স্ত্রীর দেহে করোনার সংক্রমন মিলেছে৷ তিনি গর্ভবতী ছিলেন৷ তাকে কুলাই হাসপাতাল থেকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল৷ তিনি জিবি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভরতি ছিলেন এবং গাইনো ওটিতে চিকিৎসা করা হয়েছিল৷ তাই স্বাস্থ্য দপ্তর দুইদিনের জন্য জিবি হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ ও গাইনো ওটি বন্ধ রাখা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে৷ সাথে ওই করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে যারা ছিলেন তাদের কোয়ারেন্টাইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
টানা কয়েকদিন বিএসএফ পরিবারে করোনার সংক্রমনে রাজ্যের ওই মারণব্যধির গ্রাফ উর্দ্ধমুখী হয়েছিল৷ তবে, সময়ের সাথে চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে বিএসএফের করোনা আক্রান্তরা সুস্থ হয়েছেন এবং ক্যাম্পে ফিরে গিয়েছেন৷ এখানে নিঃসন্দেহে করোনা চিকিৎসায় রাজ্যের সাফল্য দাবি করা যেতেই পারে৷ কিন্তু, বহিঃরাজ্য থেকে ত্রিপুরার নাগরিকদের বাড়িতে ফেরার সাথে সাথেই আবারও করোনার গ্রাফ উর্দ্ধমুখী হচ্ছে৷ একের পর এক করোনা সংক্রমনের সন্ধান মিলছে৷
আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এক ট্যুইট বার্তায় জানান, ১১ জন কোভিড-১৯ পজেটিভের সন্ধান মিলেছে৷ তাদের মধ্যে ১০ জন মুম্বাই থেকে ট্রেনে ফিরেছেন৷ অন্যজন বিএসএফ ৮৬ ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানের পরিবারের সদস্য৷ সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হতেই আবারও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ট্যুইট করে জানান, আরও ২৩ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ তাদের মধ্যে ১৮ জন মুম্বাই থেকে ট্রেনে রাজ্যে ফিরেছেন৷ বাকি ৫ জন ওই করোনা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাতে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩২৷ তাদের মধ্যে ১৬৫ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন৷ ২ জন রাজ্যের বাইরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, আজ নতুন সংক্রমিতদের তালিকায় গোমতী এবং খোয়াই জেলায় সবচেয়ে বেশী আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ এছাড়া, উত্তর জেলা এবং দক্ষিণ জেলাতেও করোনা সংক্রমিত পাওয়া গিয়েছে৷ সূত্রের দাবি, আজ করোনা সংক্রমিতের মধ্যে ২১ জন গোমতী জেলার, ৯ জন খোয়াই জেলার, ২ জন দক্ষিণ জেলার এবং ১ জন উত্তর জেলা ও ১ জন ধলাই জেলার বাসিন্দা রয়েছেন৷
