বহিঃরাজ্য থেকে আসা আরও চার জনের দেহে মিলিল করোনার সন্ধান, কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মে৷৷ বহিঃরাজ্য থেকে করোনা সংক্রমিত হয়ে ত্রিপুরায় আগতদের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে৷ আজ আরো ৪ জনের কোবিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ তারা সকলেই মুম্বাই থেকে ট্রেনে ফিরেছেন৷ সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ১৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷
ত্রিপুরায় বিএসএফ জওয়ান ও তাদের পরিবার করোনা আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন৷ তখন সাধারণ নাগরিকের করোনা আক্রান্তের ঘটনা ছিল না৷ কিন্তু, ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে বহিঃরাজ্য ফেরত ত্রিপুরার নাগরিকদের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলছে৷ আজ রাতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব টুইট বার্তায় বলেন, ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের কোবিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ তারা মুম্বাই থেকে ট্রেনে ফিরেছেন৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৬৫ জন সুস্থ হয়েছেন৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ১৭মে, ২০২০ তারিখে জারি আদেশ অনুসারে হোটেল ও অন্যান্য

অতিথিশালাগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সরকারি কর্মচারী, আটকে পড়া মানুষকে (পর্যটক সহ) কোয়ারেন্টিন সুুবিধা দেওয়ার জন্য খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল৷ এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, হোটেল বা অতিথিশালাগুলি পর্যটক ও অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজে ভ্রমণরত ব্যক্তিদেরও আশ্রয় দিতে পারবে৷ তবে তাঁদের বাস, ফ্লাইট, ট্রেনের টিকেট প্রদর্শন করতে হবে৷


অন্যদিকে জেলাশাসক ও সমাহর্তার বি’প্তিমূলে কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিকে ’রেড জোন’ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছিল৷ তবে ১৫ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের জারি করা আদেশ অনুসারে যদি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪দিন পর্যন্ত কোন কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া না যায় তাহলে সেটিকে ’অরে’ জোন’ বলে গণ্য করা হবে৷ কিন্তু সেখানে কন্টেইনমেন্ট জোন-এর নিয়মকানুন চলতে থাকবে ২৮দিন পর্যন্ত৷ ২৮ দিন পর্যন্ত কোন নতুন রোগী পাওয়া না গেলে তবেই সেটি ’গ্রীণ জোন’-এ পরিণত হবে৷ আজ ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে এক বি’প্তিতে এই সংবাদটি জানানো হয়েছে৷