শিলচর (অসম), ২৩ মে (হি.স.) : শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জনৈক সার্জারি রোগীর দেহে কোভিড-১৯ ধরা পড়ায় চিকিৎসক সহ ২৯ জনকে ১৪ দিনের একান্তবাসে (কোয়ারেন্টাইন) পাঠানো হয়েছে। করিমগঞ্জ জেলার এংলারবাজারের খলিলুর রহমান (৪৫) বৃহস্পতিবার পেটে ব্যথা উপসর্গ নিয়ে চিকিসার জন্য এসেছিলেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ডা. সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে চিকিৎসকরা ঠিক করেছিলেন, শুক্রবার তাঁর পেটের অপারেশন করানো হবে। কিন্তু এর আগেই ঘটে যায় আরেকটি বিপত্তি।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে থ্রোট সোয়াব টেস্ট করান খলিলুরের। টেস্টের রিপোর্টে তাঁর কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। রিপোর্ট হাতে আসতেই নড়েচড়ে বসে মেডিক্যাল প্রশাসন। বিলম্ব না করে তড়িঘড়ি খলিলুর রহমানকে কোভিড ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। এর পর অবগত করানো হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. বাবুল বেজবরুয়া, সুপারিনটেনডেন্ট ডা. অভিজিৎ স্বামী, সিনিয়র ডাক্তার এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. বাবুল বেজবরুয়া জানান, করোনা টেস্টে পজিটিভ পাওয়ার পর রোগী খলিলুরকে কোভিড ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছ। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজিউর অনুযায়ী প্রটোকল অনুসারে এই কক্ষের ১৩ জন রোগী সহ তাদের সঙ্গে বিদ্যমান অ্যাটেনডেন্টদের লালারস পরীক্ষা হচ্ছে। যে কক্ষে খলিলুর রহমানক রাখা হয়েছিল ওই কক্ষ ও তার আশপাশ এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই কক্ষের রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানান ডা, বেজবরুয়া।
প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, ডা. সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, পিজি চিকিৎসক সহ খলিলুর রহমানের চিকিৎসায় নিয়োজিত ২৯ জনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দিয়ে তাদেরও নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনার ফলে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা বিভাগের কর্মীদের আরও সতর্কতা অবলম্বনের উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

