নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ মে৷৷ করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদারহস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাতে ত্রিপুরার প্রাপ্তি সবিস্তারে বোঝালেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তাঁর কথায়, সকল স্তরের জন্যই ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ গ্রাম, গরিব, কৃষক, শ্রমিক, সকল অংশের মানুষ উপকৃত হবেন এতে৷ ঋণ নিয়ে যুব সম্প্রদায় স্বনির্ভর হতে পারবেন৷
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ত্রিপুরা ৪,৮০২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা সহায়তা পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ করোনা-র প্রকোপে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে৷ স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতির প্রাণ ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে৷ সেই দিশায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন৷ অবশ্য এই ঘোষণায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না অনেকেই৷ বাস্তবে এই প্যাকেজের প্রতিফলন কীভাবে হবে বলে বিরোধীরা, এমন-কি বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও প্রশ্ণ তুলেছেন৷ তারই জবাব দিতে এগিয়ে এলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷
শুক্রবার বিপ্লব কুমার দেব, বিদ্রূপ করে বলেন, কিছু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ণ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা থেকে তাঁরা কিছুই পাননি৷ কিন্তু ত্রিপুরা ৪,৮০২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, বিভিন্ন স্কিমের অধীনে ওই অর্থ আমাদের কাছে পৌঁছোবে৷ এ-ক্ষেত্রে কিছু অর্থ সরাসরি রাজ্য সরকারের কোষাগারে ঢুকবে৷ বাকি সরাসরি সুবিধাভোগীর কাছে যাবে৷ ফলে, সমস্ত স্কিম সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত না হলে, কেন্দ্রের সহায়তার সত্যিকারের উপকার মিলবে না৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইপিএফ, রেগা, কৃষি, প্রাণী কল্যাণ, মৎস্য, জৈব চাষ, মৌমাছি পালন, শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন, খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার৷
শুধু তা-ই নয়, লঘু, ক্ষুদ্র এবং মধ্যম শিল্পে বিনা শর্তে ঋণ প্রদান এবং রাজ্যের ঋণ নেওয়ার পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তাঁর দাবি, আগামী দিনে ত্রিপুরা কেন্দ্রের সহায়তার সুযোগ নিয়ে উপকৃত হবে৷

