হাফলং (অসম), ১৭ মে (হি. স.) : রাজ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে রাজ্যে মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এমন-কি উত্তরপূর্বের ত্রিপুরায় ১৫৭ এবং মণিপুরেও ৭ ব্যক্তির শরীরে ধরা পড়েছে কোভিড ১৯ সংক্রমণ।
ইতিমধ্যে অসমের ২৯টি জেলাকে গ্রিন জোন হিসেবে ঘোষণা করে এই সব জেলায় লকডাউন কিছুটা শিথিল করে দেওয়া হয়েছিল। এই ২৯টি গ্রিন জেলার মধ্যে অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাও পড়েছে। আর ডিমা হাসাও জেলা গ্রিন জোন হওয়ার সুবাদে ব্যাপক ভাবে লকডাউন অমান্য করছেন সাধারণ মানুষ। নৈশ কার্ফু আমান্য করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন একাংশ লোক। লকডাউন অমান্য করে বাজার হাটে ভিড় করছেন সাধারন মানুষ। সরকারি নিয়ম নীতি সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করে বাজার হাট সহ হাফলং শহরের দোকানপাট খোলা হচ্ছে।
ডিমা হাসাও জেলায় সাপ্তাহিক হাটবার নিষিদ্ধ করা হলেও সরকারি নীতি নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই সাপ্তাহিক হাটে ভিড় জমাচ্ছেন প্রচুর লোক। এ ক্ষেত্রে যেমন ডিমা হাসাও জেলার সাধারণ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, ঠিক পুলিশকেও এ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া হাফলং মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে সরকারি নীতি নিয়ম ভঙ্গ করারও অভিযোগ উঠেছে। হাফলং শহরে এভাবে সব দোকানপাট খুলে যাওয়ার দরুন লকডাউন ভঙ্গ করছেন স্থানীয় মানুষ। এতে বিপদ বাড়ছে হাফলং শহরের, এমনই অভিযোগ সচেতন মহলের।
তার ওপর বহিঃরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিক ও অনান্য মানুষ নিজের গৃহজেলায় ফিরে আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এঁদের ২৮ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়ার পরও অনেকে স্বাস্থ্য বিভাগের এ সব নির্দেশ অমান্য করে বাইরে বেড়িয়ে আসছেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আর এতেই বাড়ছে বিপদের মাত্রা, মনে করছে সচেতন মহল। কারণ এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। তাই জেলা প্রশাসন যদি লকডাউনের সময় কঠোর স্থিতি গ্রহণ না করে তা হলে সমস্যা যে বাড়বে তা এক প্রকার নিশ্চিত।
এদিকে গত তিন দিনে বহিঃরাজ্য থেকে ফিরে আসাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এঁদের হাফলং শিক্ষা ভবনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং শহরের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোভিড ১৯ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লকডাউন কঠোর ভাবে পালন করতে মানুষের মধ্যে সজাগতা অভিযান চালানোর পরও হাফলং শহরের মানুষের মধ্যে কোভিড ১৯ রোগ নিয়ে এখনও সচেতনতার অভাব দেখে আতঙ্ক বিরাজ করছে সচেতন নাগরিকদের মধ্যে।

