মণিপুরে করোনা-আক্রান্ত নার্স, রোগীর সংখ্যা চার, তবে সুস্থ তিন

ইমফল, ১৬ মে (হি.স.) : মণিপুরে জনৈক ২২ বছর বয়সি যুবতীর শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স। কয়েকদিন আগে তিনি রাজ্যে এসেছিলেন। গিয়েছিলেন কামজং জেলার বাড়িতে। কিন্তু দু-একদিন পর অসুূস্থ অনুভব করলে নিজে থেকেই এখানকার এনআইটিতে কোয়ারেন্টাইনে চলে যান তিনি। তাঁকে নিয়ে রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের মোট সংখ্যা চারে পৌঁছলেও তিনজন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ইমফলের দ্যা জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (জেএনআইএমএস)-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অ্যান্ড প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগ্যাটর ডা. রাজকুমার মনোজকুমার সিং এবং রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ডা. এল শিবদত্ত সিঙের যৌথ স্বাক্ষরিত এক রিপোর্টে এই খবর দিয়ে জানানো হয়েছে জেএনআইএমএস-এ তাঁর সোয়াব টেস্ট করা হয়েছিল। টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসায় তাঁকে ওই হাসপাতালেরই আইসোলেশন ওয়াৰ্ডে নিয়ে ভরতি করে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ৩১ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছিল। ১৩ তারিখ তিনি মুম্বাই থেকে ফিরেছিলেন। এদিকে এই দুজন ছাড়া গত এক মাসে মণিপুরে কোনও করোনা রোগী ছিলেন না। রাজ্যে শেষবারের মতো নিজামউদ্দিন মরকজে যোগদানকারী ৬৫ বছরের জনৈক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল উত্তরপূর্বের প্রথম আক্রান্ত মণিপুরের চিকিৎসক-যুবতীকে (লন্ডনে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন) সম্পূর্ণ সুস্থ বলে বাড়ি পাঠিয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। এর পর ১৯ এপ্রিল এক সপ্তাহের মাথায় দ্বিতীয় তথা শেষ রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছিল ইমফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (রিমস)-এ। এই ব্যক্তি দিল্লির মরকজ নিজামউদ্দিনে তবলিগ-ই জামাতে যোগদান করে রাজ্যে ফিরেছিলেন।