নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ মে৷৷ রাজধানীর ভগৎ সিং যুব আবাসকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিবাদে রবিবার খেজুরবাগানে ভিআইপি রোডে অবরোধ করেন স্থানীয় জনগণ৷ এই অবরোধকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে৷ পুলিশ স্থানীয় অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে৷ তাতে মহিলাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷
ভগৎ সিং যুব আবসকে কোভিড চিকিৎসা সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলায় তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় জনগণ৷ ভগৎ সিং যুব আবাস থেকে করোনা আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য জোরালো দাবি জানান স্থানীয় জনগণ৷ ভগৎ সিং যুব আবাস থেকে বিএসএফ জওয়ানদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য রবিবার সকাল থেকে ভগৎ সিং যুব আবাস এর সামনে ভিআইপি সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় জনগণ৷ ঘনবসতি এই এলাকায় চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তুলে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রগীে রাখা হলে ওই এলাকায় ভাইরাস সংক্রমিত হবে বলে তারা আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন৷
রবিবার সকাল থেকে ভগৎ সিং যুব আবাস এর সামনে ভিআইপি সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷ স্থানীয় বিধায়ক ডাক্তার দিলীপ দাস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ঘটনাস্থলে পৌঁছেন৷ অবরোধ কারীদের বুঝিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করার চেষ্টা করা হলে পরিস্থিতি বেগতিক আকার ধারণ করে৷ স্থানীয় জনগণ কোনোভাবেই ভগৎ সিং যুব আবাসে করোনা আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানদের থাকতে দেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন প্রশাসনকে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীরা অবরোধকারীদের লাঠিচার্জ করে৷ তাতে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ পুলিশ-জনতা খন্ড যুদ্ধ শুরু হয়৷ পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন অবরোধকারী আহত হন৷ আহত অবরোধকারীদের জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের ফলে অবরোধ মুক্ত হয় ভিআইপি সড়ক৷ এলাকার বিধায়ক ডাক্তার দিলীপ দাস স্থানীয় জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এখানে চিকিৎসা সেন্টার গড়ে তোলা হলে কোন ধরনের অসুবিধা হবে না৷
অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ভগৎ সিং যুব আবাসে করোনা আক্রান্ত রোগীদের রাখা হয়েছে৷ আর এই কেন্দ্র থেকে বহু স্বাস্থ্য কর্মী বাইরে এসে ছোট ছোট দোকান থেকে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সামগ্রী কিনে নিচ্ছে৷ তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না৷ যেকোনও সময় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে৷ এলাকাবাসীর দাবি বিএসএফ জওয়ানদের এখান থেকে অপেক্ষাকৃত কম জনবহুল এলাকা যেমন মোহনপুর, দমদমিয়া ইত্যাদি জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে৷ তারা বিএসএফ জওয়ানদের প্রতি অনেকটাই সহানুভূতিশীল৷ তারাও দেশের নাগরিক৷ তাদেরও চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন৷ তবে ঝুকিপূর্ণ এলাকাতে কিভাবে রাখা হচ্ছে৷ এই বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর জন্যই এদিন ভিআইপি সড়কে এলাকার লোকজন জড়ো হয়েছিলেন৷ কিন্তু, পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের কোন কথাই না শুনে ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয়েছে৷

