নয়াদিল্লি, ৫ মে (হি.স.) : ‘আমার জীবনে অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের গুরুত্ব অপরিসীম । অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উপর ভিত্তি করেই আজ আমার পরিচিতি, আমার কেরিয়ার, বিশেষ করে কোচিং কেরিয়ার প্রতিষ্ঠিত।’ এমনটাই জানান ব্যাডমিন্টনের দ্রোণাচার্য পুল্লেলা গোপীচাঁদ । গোপী স্যার তাঁর কোচিংয়ে সেরা দুই ছাত্রী সাইনা নেহওয়াল, পিভি সিন্ধুকে নিয়ে মতামত জানালেন উদার চিত্তে । এই দুই অলিম্পক জয়ীকে নিয়ে তাঁদের পদকজয়ের নেপথ্য নায়ক বলেন, ‘সাইনা ও সিন্ধু দুজনেই ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের সম্পদ। অলিম্পকের পর থেকে একটা নতুন মস্করা শুরু হয়েছে। এতদিন আমরা বলতাম, কন্যা বাঁচাও। এবার থেকে বলতে হবে, কন্যারাই বাঁচিয়ে দিল এযাত্রায়।’
সাইনা সম্পর্কে বলেন, ‘ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে ছেলেদের সাফল্য ছিল আগে থেকেই। তবে একজন ভারতীয় মহিলা সারা বিশ্বে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, এমনটা আগে কখনও হয়নি। সুতরাং সাইনা যখন আসে, ওর কাছে পরিস্থিতি ছিল চ্যালেঞ্জিং। তখন একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত ছিল যে, ভারতের মেয়েরা অত শক্তিশালী নয়। ওরা বিশ্বের সেরা তারকাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে না।’
সাইনা সম্পর্কে তিনি আরও জানান, ‘এই মিথটা ভাঙার জন্য আমাদের শাক্তিশালী কাউকে দরকার ছিল এবং সাইনা সেটা করে দেখাতে পেরেছে। ও সব দিক দিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সামনে প্রতিপক্ষ কে রয়েছে, সেটা কখনও ভাবে না। শুধু একারণেই ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের সবথেকে বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে সাইনা যে, প্রাথমিক বাধাটা ওই দূর করেছিল। পরবর্তী সময়ে সেটা অনুসরণ করা অন্য বিষয়। তবে প্রথবার যে মিথটা ভাঙে, তার কৃতিত্ব অনেক বেশি।’
সিন্ধু সম্পর্কে তাঁর কোচ বলেন, ‘সিন্ধু প্রসঙ্গে বলি, ও ইতিমধ্যেই যা কিছু অর্জন করেছে, তা অসামান্য। গত চার-পাঁচ বছরে ধারাবাহিকভাবে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস ও অলিম্পিকে পদক জেতা নিঃসন্দেহে অসাধারণ কৃতিত্ব। এখন আমাদের দেশে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রয়েছে। অলিম্পিকের রুপোর পদক এসেছে। আশা করি পরের বার অলিম্পিকে আরও ভালো কিছু করবে ও। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ও এখন ২৪-২৫ বছরের। এখনও ৫-৬ বছর ব্যাডমিন্টন খেলবে ও। হয়ত ভবিষ্যতে দেখা যাবে ব্যাডমিন্টনের ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে সিন্ধু।’