হাফলং (অসম), ৩০ এপ্রিল (হি.স.) : অবশেষে উদ্ধার হয়েছেন ডিমা হাসাওয়ের ঠিকাদার হারাঙ্গাজাওয়ের বাসিন্দা সন্তোষ হোজাই। তবে জীবিত নয়, উদ্ধার হয়েছে তাঁর পঁচাগলা লাশ। অপহরণের সাত দিন পর ভেঙে দেওয়া ডিএইচডি-র প্রাক্তন শীর্ষ নেতা তথা ঠিকাদার সন্তোষের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে লাংটিং পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে লাংটিং থানার অন্তর্গত মুপা রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় মহাসড়কের পাশে লেইরিংয়ে ঘন জঙ্গলে মাটির নীচে পুঁতে রাখা সন্তোষ হোজাইয়ের পঁচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহটি উদ্ধারের পর তা সন্তোষ হোজাইয়ের বলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় হারাঙ্গাজাও থানার অন্তর্গত গামাডিহাওর গ্রামের বাড়ি থেকে পাঁচ সদস্যের দুষ্কৃতকারীর এক দল সাদা রঙের বলেরো গাড়িতে করে ঠিকাদার সন্তোষ হোজাইকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে সন্ধানহীন ছিলেন সন্তোষ হোজাই। ঠিকাদার সন্তোষ হোজাইয়ের অপহরণের একদিন পর ২৫ এপ্রিল তাঁর স্ত্রী জয়ন্তা হোজাই হারাঙ্গাজাও থানায় এজাহার দাখিল করতে চাইলে ওসি অংশু রাজকুমার প্রথমে এজাহার জমা নিতে চাননি। পরবর্তীতে এজাহার জমা নিলেও এই অপহরণ কাণ্ড নিয়ে রহস্য ক্রমশ দানা বাঁধছিল।
সন্তোষ হোজাইয়ের স্ত্রী তাঁর স্বামীর অপহরণ কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এমন-কি ভেঙে দেওয়া ডিএইচডি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা হালালি প্রগ্রেসিভ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি দিলীপ নুনিসা থেকে শুরু করে ডিমাসা স্টুডেন্ট্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রমিত সেংইয়ং এবং ডিমাসা সর্বোচ্চ সংগঠন জাদিখে নাইশ হসম, ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীকে গঠিত যৌথ সমন্বয় সমিতির সভাপতি ফ্রেজার সেংইয়ংও এই অপহরণ কাণ্ড নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে সন্তোষ হোজাইয়ের পঁচাগলা মৃতদেহ মুপা রিজার্ভ ফরেস্টের লাইলিংয়ের ঘন জঙ্গলে মাটির নীত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।