নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ এপ্রিল৷৷ করোনাজনিত সাম্পতিক পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্খের সাথে আলোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ আজ দুপুরে দেশের সকল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী৷
বৈঠকে শিক্ষামী রতনলাল নাথ বর্তমানে উদ্ভত পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর যে উদ্যোগ নিয়েছে সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীকে অবহিত করেন৷
১৩টি ক্যাবল চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৩ ঘন্টা করে ক্লাস চালু, দশম ও দ্বাদশের যেসব পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে সেগুলির সামাজিক দূরত্ব মেনে খাতা দেখার কাজ শুরু, ততীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষা সম্পন্ন করা এবং ৮০ শতাংশ রেজাল্ট দপ্তরের অ্যাপে আপলোড করা, রেকর্ড করা বিভিন্ন ক্লাস ইউ-টিউবে আপলোড করার বিষয়টি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়৷ আজ সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামী রতনলাল নাথ বৈঠকে আলোচিত উপরোক্ত বিষয় সমূহ সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন৷
শিক্ষামন্ত্রী জানান, সমগ্র শিক্ষায় বকেয়া ৩৬ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ এই তিনটি অর্থবছরের বকেয়া ৯ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা রিলিজ করার জন্য তিনি কীেয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মী শ্রী নিশাঙ্খের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন৷ এছাড়া উদয়পুরের বনদুয়ারে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে শ্রীনাথ জানান৷ এছাড়াও ধর্মনগরের হুরুয়ায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ মিড ডে মিলের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান এবং কুক কাম হেল্পারদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়েও শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন৷
এদিকে, প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের অতিমারী প্রাদুর্ভাবের কারণে ভারত সরকার কর্তক নির্দেশিত ৩ মে, ২০২০ পর্যন্ত লকডাউন চলা সত্বেও রাজ্য সরকার রাজ্যের আপামর ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিদ্যালয়গুলিতে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর মোট ২৫ লক্ষ পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে ১৯ লক্ষ পাঠ্যপুস্তক বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়েছে এবং বিদ্যালয় কর্তপক্ষ কর্তক পাঠ্যপুস্তক বিতরণও শুরু হয়েছে৷
তাছাড়া যে সমস্ত প্রান্তে এখনও পাঠ্যপুস্তক পৌঁছায়নি এস সি ই আর টি-র পক্ষ থেকে সে সমস্ত স্থানে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার সর্বাত্মক প্রয়াস নিয়েছে৷ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, স্ব-স্ব বিদ্যালয় কর্তক ঘোষিত নির্ধারিত দিনে সামাজিক দূরত্ব এবং যথাবিহিত স্বাস্থ্যবিধি পালনের মধ্য দিয়ে পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহ করে নিতে৷ উল্লেখ্য যে, নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক এবং পাঠ্যক্রম যথাক্রমে এস সি ই আর টি-র ওয়েবসাইট ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট -এ আপলোড করা হয়েছে৷ আজ এস সি ই আর টি-র অধিকর্তা ইউ কে চাকমা এক প্রেস বিবৃতিতে এই সংবাদ জানিয়েছেন৷

