নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৫ এপ্রিল৷৷ চিকিৎসা করাতে গিয়ে লকডাউন-এ আটকা পড়া ত্রিপুরার আরও তিন পরিবার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রাজ্যে ফিরেছেন৷ এক পরিবার ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় এবং বাকি দুই পরিবার ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা করে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়ে চেন্নাই থেকে ত্রিপুরায় ফিরেছেন৷ সেখানে খাওয়া-দাওয়ার সমস্যার কারণে অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন৷ তাই, বাধ্য হয়ে প্রচুর টাকা ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজ্যে ফিরেছেন, জানালেন জম্পুইজলার বাসিন্দা সমরেশ দেববর্মা৷ তিনি মায়ের চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গিয়েছিলেন৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরার আরও অনেকেই সেখানে ফেঁসে গেছেন৷ খাবারের অভাবে ভুগছেন তাঁরা৷
শনিবার সমরেশ দেববর্মা বলেন, গত ৬ মার্চ মায়ের চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গিয়েছিলাম৷ কিন্তু লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় বিমানের টিকিট বাতিল হয়ে যায়৷ ফলে তাঁরা সেখানে আটকা পড়েন৷ তাঁর কথায়, চেন্নাইয়ে খাবারের ভীষণ সমস্যা হচ্ছিল৷ কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কোনও উপায় হচ্ছিল না৷ শেষে হাসপাতালের সহযোগিতায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ত্রিপুরায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেই৷ তিনি বলেন, গত ২১ এপ্রিল মা ও বাবাকে নিয়ে চেন্নাই থেকে রওয়ানা দিয়েছিলাম৷ আজ রাজ্যে পৌঁছেছি৷ টিএন ২৩ এএম ৪২০৯ নম্বরের অ্যাম্বুলেন্সে ত্রিপুরায় পৌছতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে, বলেন তিনি৷
তিনি জানান, ত্রিপুরার আরও দুই পরিবার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়ে ফিরছেন৷ তবে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বেশি গুনতে হয়েছে৷ তাঁর কথায়, তাঁরা প্রত্যেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, চেন্নাইয়ে ভীষণ অসহায় হয়ে পড়েছিলাম৷ ফলে বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে হয়েছে৷ তাঁর দাবি, চেন্নাইয়ে এখন অ্যাম্বুলেন্সের ভীষণ চাহিদা৷ কারণ, অনেকেই সেখানে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েছেন৷
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও চেন্নাই থেকে ত্রিপুরার দুই পরিবার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়ে রাজ্যে ফিরেছেন৷ আজ আরও তিন পরিবার এভাবেই রাজ্যে ফিরছেন৷

