নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ এপ্রিল৷৷ লকডাউনের পরবর্তী পর্যায়ে অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙ্গা করতে সামাজিক দূরত্ব মেনে শিল্প ইউনিট চালু করা যায় কিনা সে বিষয়ে শনিবার সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বোধজংনগর শিল্প ইউনিট এবং মাধববাড়ি ইটভাট্টা পরিদর্শন করেন৷ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কিছু কিছু এলাকায় যেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নেই বা এখনও কম রয়েছে সেইসব সবুজ জোন চিহিণত এলাকায় নিয়ম মেনে শিল্প ইউনিট চালু করা যায় কিনা সে বিষয়ে রাজ্য সরকার চিন্তা ভাবনা করছে৷
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আজ বোধজংনগরে একটি রাইস মিলের প্রোডাকশন ইউনিট, প্যাকিং ইউনিট এবং গোডাউন ঘুরে দেখেন৷ শ্রমিকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করা যায় কিনা সে সম্পর্কে ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন৷
এর পর মুখ্যমন্ত্রী মাধববাড়িতে একটি ইটভাট্টা পরিদর্শন করে শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন৷ করোনা মোকাবিলায় সব রকমের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ মেনে এবং কোনও অবস্থাতেই যাতে শ্রমিকদের ঝুঁকি না নিতে হয় সে বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী ইটভাট্টার শ্রমিকদের খাওয়া পরা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন৷ ত্রিপুরা সরকার ইটভাট্টার শ্রমিকদের জন্য এককালীন যে সহায়তা দিয়েছেন, শ্রমিকরা তা পেয়েছেন কিনা তাঁদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন৷
তিনি আজ এখানে কয়েকজনের হাতে সেই এককালীন সহায়তাও তুলে দেন৷ এছাড়া তিনি শ্রমিকদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন৷ পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে জনগণ সাড়া দিয়েছেন৷ এর মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে যেন কেউ ত্রিপুরায় প্রবেশ না করতে পারে সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে৷ এদিন ওই সফরে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের সচিব কিরণ গিত্যে, শ্রম দফতরের বিশেষ সচিব দীপা ডি নায়ার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷