নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ এপ্রিল৷৷ রাজ্য সরকারের অনুরোধে রাজ্যের দুটি বেসরকারি হাসপাতাল বিনামূল্যে বহির্বিভাগ পরিষেবা দিচ্ছে৷ শনিবার রাজ্যের মন্ত্রী রতনলাল ওই দুই হাসপাতাল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন৷ হাসপাতালের পরিষেবা দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন৷
আজ শিক্ষামন্ত্রী হাপানিয়ায় অবস্থিত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং আইএলএস হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন৷ ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে আইন ও শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় জিবি এবং আইজিএম হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তাই রাজ্য সরকার ওই দুই হাসপাতালকে বিনামূল্য বহির্বিভাগ পরিষেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল৷ এতে তারা দারুণ সাড়া দিয়েছেন৷ শিক্ষামন্ত্রী ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রোগী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্তদের সুরক্ষার বিষয় মাথায় রেখে এই হাসপাতালে প্রবেশের সময় সকলকে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে৷ শুধু তা-ই নয়, হাসপাতালে ঢোকার পর সকলের হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷
মন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও স্যানিটাইজড হয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেছি৷ করোনা মোকাবিলায় এ-ধরনের উদ্যোগ ভীষণ উপকারি বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতকাল থেকে বিনামূল্যে বহির্বিভাগ পরিষেবা শুরু হয়েছে৷ গতকাল ২৯৪ জন এবং আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত ২৩৪ জন রোগী চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন৷ এই সংখ্যা আজ আরও বাড়বে, দাবি করেন তিনি৷
এদিন শিক্ষামন্ত্রী আইএলএস হাসপাতালও পরিদর্শন করেছেন৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে স্বাস্থ্য পরিষেবার খোঁজ নিয়েছেন তিনি৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে আইএলএস হাসপাতালে বহির্বিভাগ পরিষেবা বন্ধ ছিল৷ কিন্ত রাজ্য সরকারের অনুরোধে তারা পুনরায় এই পরিষেবা চালু করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বহির্বিভাগ পরিষেবা দিচ্ছে৷ তিনি জানান, এই হাসপাতালে করোনা সংক্রমনের চিকিৎসা হয় না৷ তাই করোনা সংক্রমণের কোনও রোগীকে তারা এই হাসপাতালে চিকিৎসা করার বদলে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেবে৷ কারণ, সম্পূর্ণ হাসপাতালকে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে হবে৷
মন্ত্রী রতনলাল বলেন, গতকাল এই হাসপাতালে ১৮ জন রোগী চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছিলেন৷ আজ এখন পর্যন্ত ৩৫ জন রোগী বহির্বিভাগে দেখিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, সাধারণত এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ১০০ জন রোগী বহির্বিভাগে দেখাতেন৷ বর্তমানে এই হাসপাতালে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন৷ বিশেষ করে হৃদরোগের জন্য এই মুহূর্তে বহির্রাজ্যে যাওয়া সম্ভব নয়৷ সেই জায়গায় এই হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ নিতে পারবেন ত্রিপুরাবাসী৷ তিনি বলেন, আইএলএস কর্তৃপক্ষ এন-৯৫ মাস্ক, গ্লাবস চেয়ে চিঠি দিয়েছে৷ ত্রিপুরা সরকার সব রকমের সহায়তা তাদের দেবে৷