গুয়াহাটি, ১৯ এপ্রিল (হি.স.) : করোনা ভাইরাসে আক্ৰান্ত গুয়াহাটির স্পেনিশ গার্ডেনের বাসিন্দা মণীষ তিবড়েওয়ালকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে শনিবার তাঁকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মহেন্দ্রমোহন চৌধুরী হাসপাতাল থেকে আরও চার করোনা-আক্রান্তকে আজ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিলাসী আবাসন স্পেনিশ গার্ডেনের বাসিন্দা মণীষ তিবড়েওয়াল (৪৬)-কে সম্পূর্ণ করোনা-মুক্ত বলে মেডিক্যাল বোর্ড সুপারিশ করেছে। বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে আজ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পীযূষ হাজরিকাকে সঙ্গে নিয়ে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে বরণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। সেখানে তিনি তাঁকে ফলমূলের একটি সুসজ্জিত ঝাঁপি উপহার দিয়ে স্বাগত জানান। গত ১ এপ্ৰিল হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন মণীষ। পাঁচদিনের মধ্যে তাঁর নমুনা দুবার পরীক্ষা হয়। ৮, ৯, ১৭ এবং ১৮ এপ্ৰিল, প্রতিটি পরীক্ষায় রেজাল্ট আসে নেগেটিভ। আজও তাঁকে ডিসচার্জ করার আগে যাবতীয় পরীক্ষা করা হয়েছে, রেজাল্ট আশানুরূপ আসে। বুকের এক্স-রে রিপোর্টও নর্মাল আসে। তবে আজ ছুটি দেওয়া হলেও আগামী ১৪ দিন তাঁকে মেডিক্যাল কলেজের পেয়িং ক্যাবিনে কোয়ারেন্টাইনে রেখে ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কেননা স্পেনিশ গাৰ্ডেন এ মুহূর্তে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে রয়েছে। কনটেইনমেন্ট জোন প্রত্যাহার হলেই তাঁকে তাঁর ফ্ল্যাটে যেতে দেওয়া হবে। জানিয়েছেন মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
এদিকে, মহেন্দ্ৰ মোহন চৌধুরী হাসপাতাল থেকেও আজ আরও চার করোনা-আক্রান্ত রোগী যথাক্ৰমে আশরফ আলি, মহম্মদ শাহরুখ, জামিলা খাতুন এবং মফিজ উদ্দিনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ১০ এপ্ৰিল, ১১ এপ্ৰিল, ১৬ এপ্ৰিল, ১৭ এপ্ৰিল এবং ১৮ এপ্ৰিলের নমুনা পরীক্ষার রিপোৰ্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানান মন্ত্ৰী ড. শর্মা। এই চার রোগীর বুকের এক্স-রে রিপোৰ্টও নৰ্মাল এবং ব্লাড সেম্পলেও কোনও অসঙ্গতি নেই। তাই আজ তাঁদের বিদায় দেওয়া হয়েছে। তবে তাদেরও আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। মন্রীে এই চারজনের হাতেও ফলমূলের ঝাঁপি তুলে দিয়ে সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।
মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব জানান, আগামীকাল লখিমপুর এবং সোনাপুর হাসপাতাল থেকে আরও দুই করোনা-আক্রান্ত রোগীকে ছুটি দেওয়া হবে। তাঁদের সব রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
উল্লেখ্য, অসমে মোট ৩৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ১২ জনকে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছিল। আজ পর্যন্ত ১৭ জন রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।