হাফলং (অসম), ১৭ এপ্রিল (হি.স.) : করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সবাই যখন জর্জরিত, ঠিক তখন একাংশ মানুষ একে একেবারে পাত্তা দিতে চাচ্ছেন না। করোনার ভয়াবহতার প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রথম পর্যায়ের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে গোটা দেশে। কিন্তু এর পরও একাংশ মানুষ বেপরোয়াভাবে লকডাউন ভেঙে অবাধে বিনা কাজে ঘোরাফেরা করছেন। প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনার পরও এরা লকডাউনকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না।
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে সরকারি কঠোর নীতি নির্দেশিকা জারি করার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে এ ব্যাপারে সজাগ হওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এর পরও সতর্ক নন হাফলং শহরের একাংশ মানুষ। তারা বাজারে অত্যাবশক সামগ্রী ক্রয় বা এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা একান্ত জরুরি। সরকারি ভাবে নির্দেশিকা জারি করার পর নানাভাবে জনসাধারণকে এ ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। তবু এখনও মানুষ এ নিয়ে তেমন সচেতন বা সজাগ হতে পারেনি। আর এতে সমস্যা বাড়ছে।
তাছাড়া জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই হাফলং শহরের একাংশ মানুষ নিজেদের ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে শহরে ঘোরাফেরা করছেন। এ নিয়ে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও অনেকেই এ সব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লকডাউনের নীতি নির্দেশিকা লঙ্ঘন করছেন।
এদিকে ডিমা হাসাও জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা আজ পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪৭ জনে। তাছাড়া ডিমা হাসাও জেলায় বসবাসরত যে সব ব্যক্তি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, অন্য রাজ্য বা বিদেশে আটকে পড়েছেন তাদের বা তাদের পরিবারের নাম জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কন্ট্রোল রুমের দেওয়া নিম্নলিখিত নম্বর ১০০৭ / ০৩৬৭-৩২৩৬৩২৪ / ৯৪৩৫৫৩০৪১২ / ০৩৫৭৩১০০৭-এ যোগাযোগ করে নাম ও পুরো ঠিকানা দাখিল করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

