BRAKING NEWS

আইএলএস হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগী ও রোগীর পরিবারের সঙ্গে অসহযোগিতা করার গুরুতর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ এপ্রিল ৷৷ আইএলএস হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগী ও রোগীর পরিবারের সঙ্গে অসহযোগিতা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ সেবা ধর্মে দীক্ষিত চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের এহেন মনোভাবে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ আইএলএস হাসপাতালের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ উঠে আসছে৷ রাজ্যের একমাত্র বেসরকারি হাসপাতাল আইএলএস একদিকে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পকেট কেটে টাকা আদায় করে চলেছে, অন্যদিকে রোগীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিচ্ছে না৷ শুধু তাই নয়, রোগীর মৃত্যুর পরও রোগীকে আটকে রেখে জীবিত বলে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করার নানা অভিযোগও ইতিপূর্বে মিলেছে৷ সম্প্রতি হাপানিয়া এলাকার পরেশ দাস নামে এক ব্যক্তিকে ব্রেইন হেমারেজজনিত কারণে আইএলএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷

গত ২রা এপ্রিল পরেশ দাসের অপারেশন করানো হয় আইএলএস হাসপাতালে৷ ৪ এপ্রিল তাকে ছুটি দেওয়া হয়৷ যথারীতি রোগী হাপানিয়াস্থিত নিজ বাড়িতে চলে যায়৷ এরই মধ্যে রোগী জ্বর অনুভব করে এবং চোখ খানিকটা ফুলে যায়৷ বিষয়টি আইএলএস হাসপাতালকে ফোনে রোগীর পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়৷ আইএলএস হাসপাতাল থেকে রোগীর পরিবারকে মঙ্গলবার আইএলএস হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছিল৷ সে অনুযায়ী রোগী পরেশ দাসকে সঙ্গে নিয়ে পরিবারের লোকজনরা আইএলএস হাসপাতালে আসেন৷ কিন্তু রোগীর গায়ে জ্বর থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক রোগীকে দেখতে অস্বীকার করেন৷ এমনকি রোগীর পরিবারের লোকজনদের সঙ্গেও তিনি কথা বলতে নারাজ৷ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রোগীর পরিবারের লোকজনরা রোগীর জন্য ওষুধ মৌখিকভাবে হলেও বলে দিতে অনুরোধ জানানো হয়৷ সে অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য৷

নিয়োরোসার্জন সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এ ধরনের কার্যকলাপে রোগীর পরিবারের তরফ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এ কোন ধরনের সেবা ধর্ম সেই প্রশ্ণও তুলেছে রোগীর পরিবারের লোকজনরা৷ জ্বর হলেই কোভিড-১৯ পজিটিভ হবে তা মেনে নিতে নারাজ রোগীর পরিবার৷ আইএলএস হাসপাতালের এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সংশ্লিষ্ট পরিবার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *