নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮মার্চ৷৷ পার্শবর্তি রাজ্য আসাম থেকে কোন লোক যেন বর্তমানে রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য অভিনব কায়দায় বন্ধ করে দেওয়া হল সকল রাস্তা৷ তবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ রাজ্যবাসীর আতঙ্কের বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ দাবি উঠেছে সিমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করার৷বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক৷ ভারতেও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা৷ তবে ত্রিপুরা রাজ্যে এখনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি৷ তাতে আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই৷ যেই কোন সময় রাজ্যেও থাবা বসাতে পারে করোনা ভাইরাস৷ প্রান্তিক এই পাহাড়ি রাজ্যের তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশ৷ করোনা ভাইরাস বাংলাদেশেও প্রভাব বিস্তার করছে৷
এই নিয়ে উদ্বিগ্ণ ত্রিপুরাবাসি৷ বাংলাদেশ সিমান্তে তার কাটার বেড়া থাকলেও, ঙ্কছ-এর চোখে ধুলো দিয়ে প্রায়ই বাংলাদেশ থেকে মানুষ ত্রিপুরায় প্রবেশ করে৷ এই বিষয় নিয়েই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ণ রাজ্যবাসি৷ কারন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে আসে তাহলে এই রাজ্যের হাল যে বেহাল হয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য৷ ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সিমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন একমাস বর্ডার কারফিউ পালনের জন্য৷ কিন্তু অভিযোগ একাংশ স্বার্থান্বেষী মানুষ এখনো অর্থ লোভে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে রাজ্যে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে৷ অপরদিকে আসাম রাজ্যের সাথে সংযোগ রক্ষা কারি জাতীয় সড়ক ব্যতীত অন্যান্য বিকল্প সড়ক গুলি ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক দিয়ে এক মাত্র পণ্যবাহী গাড়ি গুলিকে রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে৷
কিন্তু অভিযোগ আসাম থেকে পায়ে হেঁটে মানুষ রাতের অন্ধকারে রাজ্যে প্রবেশ করছে৷ এইনিয়ে বেশকিছু দিন ধরে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে উত্তর জেলার মানুষ৷ বিষয়টি শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের নজরে আসে৷তারপরই নড়ে চরে বসে কদমতলা থানার পুলিস সহ প্রশাসন৷ তাই এইবার আসাম থেকে কোন লোক যেন রাতের অন্ধকারে রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য যে সকল স্থান দিয়ে আসাম থেকে লোকজন রাজ্যে আসে সেই সকল স্থান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ শুক্রবার ঝোপ ঝার দিয়ে সম্ভাব্য সকল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে এই রাস্তা গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান মানুষের স্বার্থে এই রাস্তা গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান কেউ যেন বিনা কারনে রাস্তায় বের না হয়৷কদমতলা থানার এই ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়৷ তবে রাজ্যবাসীর সবচেয়ে বড় আতঙ্কের বিষয় বাংলাদেশ সিমান্ত এলাকা৷ সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী একমাস বর্ডার কারফিউ পালনের আহ্বান জানানোর পরও একাংশ স্বার্থান্বেষী লোক অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে মানুষকে রাজ্যে নিয়ে আসছে৷ এই বিষয়ে অবগত করা হচ্ছে না প্রশাসনকেও৷ বিশেষ করে সোনামুড়া সিমান্তের একটা অংশ, দক্ষিন জেলার বিলোনিয়া মহকুমার আমজত্ননগর সিমান্ত, দেবীপুর সিমান্ত, গোমতী জেলার করবুক সিমান্ত, ধলাই জেলার রইস্যাবাড়ি সিমান্ত, কৈলাসহরের একাংশ সিমান্ত এলাকা ও খোয়াই মহকুমার একাংশ সিমান্ত এলাকা দিয়ে এখনো বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেসের চেষ্টা চলছে বলে অসমর্থিত সুত্রের খবর৷ যদিও এই সকল সিমান্ত এলাকায় বি.এস.এফ প্রহরার কাজে রয়েছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সকল সিমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারির দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে৷