নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮মার্চ৷৷ করোনা ভাইরাসের জেরে রাজ্যে অনেকটাই প্রভাব পড়েছে৷ কারফিউ ও লকডাউন চলছে৷ এই সময়ে আর্থিক সাহায্য নিয়ে অনেক এগিয়ে আসছে৷ যে যার সাধ্যমত আর্থিক সহায়তা করছে৷ শনিবার আমবাসা পুর পরিষদ এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে৷ তাদের নিজেদের উদ্যোগে আমাদের মহকুমার মহকুমা শাসক জে বি দোয়াতির হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা৷ এদিন চারজনের এক প্রতিনিধিদল এসে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে মহকুমা শাসকের হাতে এই আর্থিক সাহায্য তুলে দেয়৷
করুনা ভাইরাসের জেরে রাজ্যে চলছে লকডাউন ও কারফিউ৷ এই পরিস্থিতিতে আর্থিক সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসলো আমবাসা প্রেসক্লাব৷ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আমবাসা প্রেস ক্লাবের তরফ থেকে ৫০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য করা হয়৷ আমবাসা মহকুমা শাসক জে,বি, দোয়াতির হাতে আমবাসা প্রেস ক্লাবের সদস্যরা এই আর্থিক সাহায্য তুলে দেয়৷ উপস্থিত ছিলেন আমবাসা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক পরাশর বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা৷
করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সাংসদ তহবিল থেকে রাজ্যের ৪ টি জেলায় অর্থ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ মোট ৫০ লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন তিনি৷ এইদিন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের হাতে পশ্চিম জেলার জন্য বরাদ্দ সাংসদ তহবিলের অর্থ তুলে দেন তিনি৷ একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে এক কোটি টাকা জেলা শাসকের মাধ্যমে প্রদান করেন৷ প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে এক মাসের বেতন ভাতা এক লক্ষ টাকা তুলে দেন জেলা শাসক সন্দীপ মাহাত্মের হাতে৷ চেক মারফত এই অর্থ প্রদান করেন তিনি৷ সবাইকে এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ জনগণ নির্বাচিত করে রাজ্যের দায়িত্ব কাঁধে তুলে দিয়েছেন৷ সেই দায়িত্ব প্রতিপালন করতেই তিনি বর্ধপরিকর বলে জানান৷ বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা ক্লাব এবং ব্যক্তিগত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি৷
শনিবার খোয়াই পুর পরিষদের অন্তগর্ত খোয়াই মণ্ডলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বুথ এলাকায় প্রায় সাত শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়৷ এই দিন চাল, ডাল , সব্জি সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য প্রদান করা হয়৷ যাতে করে মানুষকে লক ডাউন ও কার্ফুতে কোন রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় বলে জানান মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার৷ তিনি বলেন এই ধরণের খাবার প্রদান করা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে৷
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লক ডাউন লাগু রয়েছে৷ রাজ্যে লক ডাউনের পাশাপাশি লাগু রয়েছে ১৪৪ ধারা ও কারফিউ৷ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় খোলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে এক মাসের বেতন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দান করেন৷ পাশাপাশি সকল মন্ত্রী ও বিধায়কদের প্রতি আহ্বান জানান তাদের এক মাসের বেতনের অর্ধেক টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দান করার জন্য৷ একই সাথে সকলের প্রতি আহ্বান জানান যে যার সাধ্যমত মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দান করার জন্য৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু মানুষ সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন৷ প্রায় প্রতিদিন বহু মানুষ তাদের সাধ্যমত অর্থ দান করছেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে৷ শনিবার একাধিক ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দান করার লক্ষ্যে মন্ত্রী রতন লাল নাথের হাতে তুলে দেন চেক৷ মন্ত্রী রতন লাল নাথ এক সাক্ষাৎকারে জানান এইদিন মোহনপুর ওবিসি মণ্ডলের পক্ষ থেকে ২৩ হাজার টাকা দান করা হয়েছে৷
এছাড়াও কৃপেশ দেব নামে এক ব্যক্তি ব্যবসায়ী ৫০ হাজার টাকা, সুব্রত ঘোষ ও শঙ্কর ঘোষ নামে দুই ব্যবসায়ী ৫০ হাজার টাকা, দীপঙ্কর বিশ্বাস নামে এক ব্যবসায়ী ৫০ হাজার টাকা, গৌতম রায় নামে এক ব্যবসায়ী ৫০ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দান করেছেন৷ তাদের প্রত্যেককে মন্ত্রী রতন লাল নাথ অভিনন্দন জানান৷ তিনি আরও বলেন যে যার ক্ষমতা মতো স্বেচ্ছায় দান করছে৷ দুযর্োগ মুহূর্তে তারা সরকারের সাথে এসে দাঁড়াচ্ছে৷
মন্ত্রী রতন লাল নাথ সকলের প্রতি আহ্বান জানান অযথা বাড়ি থেকে বের হবেন না৷ সবজী বিক্রেতারা গলি গলি সবজি নিয়ে যাবে৷ তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যে যার বাড়ির সামনে থেকে সবজি ক্রয় করে নিন৷ তিনি আরও জানান মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যে বহু মন্ত্রী বিধায়ক তাদের এক মাসের বেতনের অর্ধেকের বেশি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দান করেছেন৷ কেউ কেউ এক মাসের বেতনের অধিক টাকা দান করেছেন৷ তিনি নিজের এক মাসের বেতনের অর্ধেকের বেশি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দান করবেন বলেও জানান৷