নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মার্চ৷৷ ত্রিপুরায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা কিট সরবরাহ হয়নি৷ তবে, দুয়েক দিনের মধ্যে ওই ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে৷ বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে অস্বাস্থ্য করেন স্বাস্থ্য সচিব ডা. দেবাশীষ বসু৷ তাঁর কথায়, স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য সুরক্ষা কীট অনেকটাই সরবরাহ করা হয়েছে৷ তবুও, কিছু ঘাটতি রয়েছে৷ তা মিতে যাবে৷ সাথে তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় এখনো পর্যন্ত একজনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পাওয়া যায়নি৷
এদিন তিনি জানান, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সেন্টারে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে ৫০ জনকে৷ তাছাড়া বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ৯৪৮ জন৷ তাঁদের প্রত্যেককে দিনে দুবার করে চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন৷ শুধু তা-ই নয়, তাঁদের হাতে কোয়ারান্টাইন স্ট্যাম্পও লাগানো হয়েছে৷ এতে সাধারণ মানুষ সহজেই তাঁদের চিহ্ণিত করতে পারবেন৷
এদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মণিপুরের চিকিৎসক-গবেষক যুবতীর সহ-বিমানযাত্রী ত্রিপুরার ১০ জনের আজ রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ স্বাস্থ্যসচিব বলেন, তাঁদের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে৷ সাথে চিকিৎসকরাও প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন৷ এদিন তিনি জানান, ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা কিট সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে৷ তার জন্য হেলিকপ্ঢার ভাড়া করা হয়েছে৷ কলকাতায় আটকে থাকা ওই সামগ্রীগুলি আনার জন্য হেলিকপ্ঢার ব্যবহার করা হবে৷
এ-বিষয়ে জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার বলেন, যতটা সম্ভব সুরক্ষা কিট সরবরাহ করা হচ্ছে৷ তবে ১০০ শতাংশ সরবরাহ করা এখনও সম্ভব হয়নি৷ এদিকে, স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, সুলভ শৌচালয় এবং নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত বেসরকারি কর্মীদেরও মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷