নয়াদিল্লি, ১৮ মার্চ (হি.স.) : দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৭ ছাড়িয়ে গিয়েছে। চিনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে মাস্ক পরে রাজ্যসভায় প্রবেশ করেন একাধিক সাংসদ। কিন্তু, অধিবেশন চলাকালীন মুখে মাস্ক পরা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
এদিন সকালে অধিবেশন শুরু হওয়া মাত্রই চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু দেখতে পান যে, উচ্চকক্ষের একাধিক সদস্য মুখে মাস্ক পরে বসে রয়েছেন। সেই সকল সাংসদদের উদ্দেশ্য করে বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, গোটা সংসদ চত্বর সাফাই এবং শোধনের (সেনেটাইজেশন) কাজ সম্পূর্ণ ভাবে করা হয়েছে। ফলে মাস্ক পরার কোনও প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি তিনি সকল সাংসদদের উদ্দেশ্য করে বলেন, করোনা রোধে কারও যদি কোনও পরামর্শ থাকে তবে তা অবিলম্বে সচিবালয়কে অবগত করানো হোক। এদিন একাধিক সাংসদদের তরফ থেকে দাবি ওঠে অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়ার। সাংসদ রাজীব গৌডা জানিয়েছেন, একজন সাংসদ সারাদিনে বহু মানুষের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেন। ভাইরাস কাউকে দেখে আসে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত সংসদের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে মুলতুবি করে দেওয়া।
কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন, সংসদ চত্বরে যেখানে থার্মাল চেকিং হচ্ছে সেখানে ভীষণ ভিড়। এই থার্মাল পরীক্ষা সংসদের এন্ট্রি পয়েন্টে হওয়া প্রয়োজন। ভিড় থেকে দূরত্ব বজায় রাখাটা জরুরি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি জানিয়েছেন, সাংসদদের এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য উৎসাহিত করা উচিত। তৃণমূল সাংসদ নাদিমূল হক করোনা থেকে ভারতের বিপদ সম্পর্কে অবগত করান। সৌদি আরবের জেড্ডার একটি হোটেলে পশ্চিমবঙ্গের ৪০ জন বাসিন্দা আটকে পড়ার প্রসঙ্গ তোলেন। সরকারকে এই বিষয় হস্তক্ষেপ করতে বলা হয়।

