নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ ফেব্রুয়ারী৷৷ ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারির পর করোনা ভাইরাস আক্রান্ত চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড যারা ভ্রমন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশিকা অনুযায়ী রুটিন কার্যক্রম হিসাবে বিশেষ নজরদারী রাখা হচ্ছে৷ তাঁদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ ও লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে চিকিৎসা করানো যায়৷
এই ক্ষেত্রে ২২ জন ভ্রমণকারীকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে৷ যারা এই সমস্ত দেশ থেকে এসেছে৷ তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১৪ দিনের জন্য বাড়িতে সেলফ অব্জারভেশনে থাকার জন্য৷ এই নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারন নেই৷ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই দপ্তরের কাছে৷ কেবল মাত্র আগাম সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধ দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ রাধা দেববর্মা৷ না জেনে এই বিষয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে আহবান জানান তিনি৷ কোন ধরনের অসুবিধা হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আহবান জানান পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধ দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ রাধা দেববর্মা৷
এদিকে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নজরদারি সংক্রান্ত একটি সরকারি আদেশনামা সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হবার ঘটনা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের নজরে এসেছে৷
দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে যে, যারাই ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ সালের পর করোনা ভাইরাস আক্রান্ত চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যাণ্ডে ভ্রমণ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে রুটিন কার্যক্রম হিসেবে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে৷
তাঁদের মধ্যে কোনও কারণে করোনা ভাইরাস এর উপসর্গ এবং লক্ষণ দেখা দিলে, সঙ্গে সঙ্গে যাতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় এবং এর সংক্রমণ প্রতিরোধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, তার জন্য পশ্চিম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷ আগাম সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ তাই এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই৷ উল্লেখ্য, আমাদের রাজ্যে কারও শরীরে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ ঘটেনি এবং সন্দেহভাজন রোগীর সন্ধান এ যাবৎ পাওয়া যায়নি৷ পরিবার কল্যাণ এবং রোগ প্রতিরোধ দপ্তরের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদ জানানো হয়েছে৷