নয়াদিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : প্রবল সঙ্কটে রয়েছে দেশের অর্থনীতি। সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এমনই জানিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম।
সোমবার সাধারণ বাজেট নিয়ে আলোচনায় রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে পি চিদম্বরম বলেন, ভারতীয় অর্থনীতি প্রবল সঙ্কটে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এই বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ প্রশাসনকেই নিতে হবে। ভারতীয় অর্থনীতির কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, তা মানতে চাইছে না প্রশাসন।
ভারতীয় অর্থনীতির বর্তমান চিত্র তুলে ধরে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি যদি রোগী হয়। তবে তাকে আইসিইউতে রাখা উচিত। কিন্তু কেন্দ্র কিছু অযোগ্য চিকিৎসক, যারা সবকা সাথ, সবকা বিকাশ বলে চিৎকার করছে, তাদের অধীনে অর্থনীতিকে রেখে দিয়েছে। রাজ্যসভায় আর্থিক সমীক্ষা উঠে আসা একটি পরিসংখ্যান নিয়েও কোনও আলোচনা হয়নি। বিগত আট মাস ধরে আমদানি নেতিবাচক পর্যায় চলে গিয়েছে।
পিরিওডিক লেবার ফোর্স ২০১৮ সালের রিপোর্ট তুলে ধরে তিনি বলেন, বিগত ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার সর্বাধিক। ২০১৭-১৮তে ন্যাশনাল সেম্পেল সার্ভের রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ অভিজিত বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি নিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে অনীহা সরকারের। দেশের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে চিদম্বরমের নিদান, সাধারণ মানুষের হাতে টাকা থাকাটা একান্ত প্রয়োজন।
চিদম্বরমের আরও দাবি খাদ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ করার কথা ছিল ১,৮৪,০০০ কোটি টাকা। সেই জায়গায় বরাদ্দ করা হয়েছে ১০৮০০০ কোটি টাকা। কৃষিতে বরাদ্দ করার কথা ছিল ১৬১০০০ কোটি টাকা। সেখানে বরাদ্দ করা হয়েছ ১২১০০০ কোটি টাকা। মিড ডে মিলে বরাদ্দ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। সেখানে বরাদ্দ করা হয়েছে ৯৯০০ কোটি টাকা।

