গুণগত শিক্ষা প্রদানের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ ফেব্রুয়ারী৷৷ যেকোন দেশ বা রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষাব্যবস্থাকে সুুদৃঢ় করা একান্ত প্রয়োজন৷ দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম থেকেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন৷ দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শৌচালয় নির্মাণের উপর জোর দিয়েছেন৷ ফলে দেখা গেছে বর্তমানে বিদ্যালয়গুলিতে বিশেষ করে ছাত্রীদের উপস্থিতির হার অনেক বেড়েছে৷ আজ শহীদ ক্ষুদিরাম বসুু ইংরেজী মাধ্যম বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি বলেন, ভারত মাতৃ তান্ত্রিক দেশ৷ এই ধারণাটিকেও একটা সময় ভুলিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল৷ দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারীদের শিক্ষার উন্নয়নে জোর দেওয়ার ফলে এখন প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষাস্তর পর্যন্ত ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সাফল্যের হার বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের উজ্জল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার গুণগত শিক্ষা প্রদানের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে৷ সেই লক্ষ্যে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে এন সি ই আর টি পাঠ্যক্রম চালু করা হয়েছে এবং শিক্ষাবর্ষ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের পরিবর্তে এপ্রিল থেকে মার্চ করা হয়েছে৷ ফলে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় রাজ্যের ছেলেমেয়েরাও সাফল্য পাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশাব্যক্ত করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান আরও উন্নত করার লক্ষ্যে রাজ্যসরকার নতুন দিশা নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে৷ রাজ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে একই প্রশপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে৷ দক্ষতা বিকাশের জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এছাড়াও ইউ পি এস সি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজ্যের ছেলেমেয়েদের ফ্রি-কোচিং এর ব্যবস্থাও রাজ্য সরকার করেছে৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেকোনো কাজের নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে৷ নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে কোন কাজেই সাফল্য আসেনা৷ শিশুর বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের সকল সরকারি ও সরকার অনুমোদিত প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গুরুত্বের সঙ্গে শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলন করা হবে৷ এই নিয়ে তৃতীয়বার সারারাজ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে একসঙ্গে শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ আজ রাজ্যের ৪৯৪৫টি বিদ্যালয়ে একসঙ্গে শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলন হয়েছে৷ এই সম্মেলনে রাজ্যের মোট ৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৭৩ জন অভিভাবক অংশগ্রহণ করেছেন৷


শহীদ ক্ষুদিরাম বসুু ইংরেজী মাধ্যম বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও পুর পারিষদ হিমানী দেববর্মা, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা উত্তম কুমার চাকমা এবং শহীদ ক্ষুদিরাম বসুু ইংরেজী মাধ্যম বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র লাল সাহা উপস্থিত ছিলেন৷