সবচেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছেন মা : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারী৷৷ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আজ মলয়নগরস্থিত মডার্ন হায়ার সেকেণ্ডারি সুকলের বর্ষপূতি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়৷ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল ’তাদের বাড়ি’৷ আর সবচেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছেন ’মা’৷ তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কাছে সুকল জীবনই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সময়৷ শিক্ষা মানে শুধু ডিগ্রী নয়৷


পড়াশুনার চাপ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মনকে ভারাক্রান্ত করা উচিৎ নয়৷ তাদের প্রক’ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে৷ কারণ যেকোন দেশের ভবিষ্যৎই দেশের যুব সমাজের উপর নির্ভরশীল৷ উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাদের সমাজ, দেশ ও পৃথিবীর বর্তমান পরিস্থিতি সম্বন্ধে ওয়াকিবল থাকতেও পরামর্শ দেন৷ তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ত্রিপুরাকে সর্বক্ষেত্রে দেশের মধ্যে একটি বিশেষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়৷ তারজন্য সর্বাপেক্ষা প্রয়োজন হল গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা৷ রাজ্য সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে নানাবিধ নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে সেই দিশাতেই কাজ করে চলেছে৷

রাজ্যের উন্নয়নে গুণগত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পুষ্টি সহ বিশেষ করে ১৭টি বিভিন্ন বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে৷ বর্তমান সরকার সেদিক দিয়ে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের সার্বিক বিকাশে কাজ করে চলছে৷ তিনি আশা প্রকাশ করেন অচিরেই মডার্ন হায়ার সেকেণ্ডারি সুকল রাজ্যের বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠবে৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের প্রাক্তন অধিকর্তা রি’ৎ দেবনাথ বলেন, বিদ্যালয়টিতে আন্তরিকতার ছাপ রয়েছে৷ যা ছাত্রছাত্রীদের ভাল মানুষ তৈরী করতে সহায়তা করে৷ তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছেলেমেয়েদের পড়ালেখাতে স্বতস্ফূর্তভাবে বাড়তে দেওয়া দরকার৷


এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কু’বন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দীপঙ্কর রায়৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী কল্যাণ নারায়ণ ভ-াচার্য এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুুজিৎ দাশগুপ্ত৷


অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ম্যাগাজিন ’উৎকর্ষ’-এর মলাট উন্মোচন করেন৷ এছাড়াও উপস্থিত অতিথিগণ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ক’তী ছাত্রছাত্রীদেরকে শংসাপত্র ও শুভেচ্ছা মারক প্রদান করেন৷ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সাংস্ক’তিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে৷