তিরুবনন্তপুরম, ২৯ জানুয়ারি (হি.স.): বিরোধীদের তুমুল হই হট্টোগোলের জেরে অশান্ত হল কেরল বিধানসভা| ভেস্তে গেল কেরল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন| বুধবার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল|এদিন অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন রাজ্যপাল মহম্মদ আরিফ খান| কিন্তু, বিধানসভায় ঢোকার সময় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ)-এর বিধায়কদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে| হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজ্যপালের পথ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ| প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘রাজ্যপাল ফিরে যান’, ‘আমরা জনগণ, ভারত সিএএ-র বিরুদ্ধে’| পরে মার্শালরা এসে বিধায়কদের সরিয়ে বিধানসভার মূল মঞ্চে যাওয়ার রাস্তা করে দেন রাজ্যপালকে| এই সময়ে বিধানসভাতেই উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন|
দেশের মধ্যে কেরলই প্রথম রাজ্য, যে রাজ্যের বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়| সিএএ-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছে কেরল সরকার| রাজ্যপাল অবশ্য সিএএ-কে সমর্থন করে প্রস্তাব পাশের সমালোচনা করেছিলেন| এদিন বিধানসভায় সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব পাঠ করতে এলে বিধানসভায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল মহম্মদ আরিফ খান| ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ)-এর বিধায়করা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন| পরে মার্শালরা এসে বিধায়কদের সরিয়ে বিধানসভার মূল মঞ্চে যাওয়ার রাস্তা করে দেন রাজ্যপালকে| এদিন প্রস্তাব পাঠ করার সময় রাজ্যপাল বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই প্রস্তাব পাঠ করছি আমি| এটা আমার ধ্যানধারনা নয়| মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাকে সম্মান জানাতেই প্রস্তাব পাঠ করছি|’ বিধানসভায় এদিন রাজ্যপাল বক্তব্য শুরু করার পরই ওয়াক-আউট করেন ইউডিএফ বিধায়করা| এদিন কেরল বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ইউডিএফ-এর বিক্ষোভ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেছেন, ‘আমি যখন বিধানসভার (উত্তর প্রদেশ) সদস্য ছিলাম, তখন এর চেয়েও খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি|’
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা বলেছেন, ‘সিপিএম এবং রাজ্যপালের মধ্যে গোপন বোঝাপোড়া রয়েছে, সুস্পষ্ট কারণ হল এই যে, লাভালিন দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, চলতি সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে এই দুর্নীতি মামলার শুনানির কথা রয়েছে| মুখ্যমন্ত্রী এখন কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা চাইছেন|’ রমেশ চেন্নিথালা আরও বলেছেন, ‘রাজ্য বিজেপির সভাপতির মতো কাজ করছেন রাজ্যপাল|’