নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জানুয়ারি৷৷ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে (আইসিপি) ইমিগ্রেশন জনৈক বাংলাদেশি যাত্রীকে ফেরত পাঠিয়েছে৷ কারণ, আইসিপি-তে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করার পরিকাঠামো ছিল না৷ তাই তাঁকে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষার অনুরোধ জানিয়েছিল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু এতে তিনি রাজি হননি৷ তাই তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, সারা দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের সতর্কতা জারি করেছে ভারত সরকার৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যে সমস্ত রাজ্যে ওই ভাইরাসের প্রকোপ আটকাতে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে৷ অথচ, বিমানবন্দর ছাড়া কোথাও নজরদারি দেখা যাচ্ছে না৷
এ-বিষয়ে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিলেন্স প্রোগ্রাম অফিসার (আইডিএসপি) ডা. সুধীর দেববর্মা জানিয়েছেন, সারা ত্রিপুরাতেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে৷ তিনি বলেন, আপাতত বিমানবন্দরে মেডিক্যাল হেল্পডেস্ক রয়েছে৷ সেখানে ওই ভাইরাসের পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে৷ এছাড়া, আইসিপি কিংবা রেলওয়ে স্টেশনে এখনও কোনও মেডিক্যাল ডেস্ক বসানো হয়নি৷ তবে, সতর্কতার জন্য প্ল্যা-কার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
তিনি বলেন, আইসিপি-তে শীঘ্রই মেডিক্যাল টিম বসানো হবে৷ পর্যায়ক্রমে রেলওয়ে স্টেশনেও থাকবে মেডিক্যাল টিম৷ তাছাড়া, প্রত্যেক জেলায় ইতিমধ্যে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে৷ অবশ্য ত্রিপুরায় এখনও এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর নেই৷এদিকে, আজ আগরতলা আইসিপি-তে বাংলাদেশের জনৈক নাগরিককে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে ইমিগ্রেশন৷
বাংলাদেশের ফেণী জেলার সাহেবপুর এলাকার বাসিন্দা শওকত আহমেদ চীন ভ্রমণ করে আগরতলা আইসিপি-তে এসেছিলেন৷ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভারতে ঢুকতে দেয়নি৷ সূত্রের খবর, দু-মাস আগে তিনি চীন ভ্রমণ করেছিলেন৷ তাই আজ আগরতলা আইসিপি-তে তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ৷ আইসিপি-তে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার সুযোগ নেই, তাই তাঁকে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু, তিনি তাতে রাজি হননি৷
ত্রিপুরা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ সুপার শঙ্কর দেবনাথ এ-বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন৷ তবে, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন৷