বারাণসী, ২৭ জানুয়ারি (হি.স.): কোটি-কোটি সনাতন রামভক্তের আস্থার কেন্দ্রস্থল শ্রী রামজন্মভূমি অযোধ্যায় বিরাজমান রামলালার ভব্য এবং দিব্য মন্দির নির্মাণ হোক, তা প্রত্যেকেরই ইচ্ছে| কিন্তু মূল প্রশ্ন হল-রাম মন্দির নির্মাণ হতে এখনও তো প্রচুর সময় লাগবে, ততদিন রামলালা কী তাঁবুতেই থাকবেন? সোমবার এই প্রশ্ন উত্থাপণ করেছেন দ্বারকা শারদা পীঠাধীশ্বর জগদগুরু শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতীর শিষ্য এবং অযোধ্যা শ্রী রামজন্মভূমি রামালয় ন্যাস-এর সচিব স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ| সোমবার কেদারঘাটে অবস্থিত শ্রীবিদ্যামঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ|
তিনি বলেন, ‘রামলালার ভব্য মন্দিরের জন্য কোনও ট্রাস্টকে জমি প্রদান, লেআউট তৈরি করা এবং নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য প্রচুর সময় লাগবে| মন্দির নির্মাণ শুরু হয়ে গেলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হতে ৫ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে| এখন বড় প্রশ্ন হল এই যে-ততদিন রামলালা কী তাঁবুতেই থাকবেন?’ স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ এদিন বলেছেন, শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দ সরস্বতী মহারাজের মতে, সুপ্রিম কোর্ট নিয়মাবলী তৈরি করে যথাযথ ট্রাস্টকে জমি প্রদান করার জন্য কেন্দ্রকে ৩ মাসের সময় দিয়েছে| নতুন ট্রাস্ট তৈরি করার জন্য নয়| শীর্ষ আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে ১৯৯৩ সালের অধিগ্রহণের শর্তকে পূরণ করা ট্রাস্টকেই এই জমি দেওয়া যাবে| কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার বলেছেন, অযোধ্যায় তৈরি হবে গগণচুম্বী রাম মন্দির| কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহের এই বক্তব্যের ভূয়শী প্রশংসা করে স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেছেন, হিন্দু ধর্মের শীর্ষস্থানীয় ধর্মচার্যরাও এই একই কথা বলেছেন|