নয়াদিল্লি, ২৭ জানুয়ারি (হি.স.) : আসন্ন দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে নেমে ফের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার রিঠালা ও জনকপুরী বিধানসভা কেন্দ্রতে দুটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন। জনসভায় তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করেন, তাঁরা অনেক কিছু দেখেছেন, তবে আমার জীবনে এমন মুখ্যমন্ত্রী যাকে সস্তার ও নিম্নমানের রাজনীতি করতে দেখিনি। তিনি দিল্লির লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষকে পাঁচ লক্ষের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করেছেন। শাহ আরও বলেন, কেজরিওয়াল জনসাধারণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আম আদমি পার্টি (এপি) ক্ষমতায় এলে আমরা দেড় লক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করব, তবে এখনও পর্যন্ত পুরো দিল্লিতে সিসিটিভি লাগানো হয়নি। তবে কোথাও কোথাও গাছ লাগিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচ বছর ধরে কেজরিওয়াল দিল্লির জনগণকে কেবল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেজরিওয়াল পাঁচ হাজার নতুন বাস কেনার কথা বলেছিলেন, কিন্তু নতুন আসে নি এবং উপরে থেকে ১১০০ টি বাস কমিয়ে দিয়েছে। কেজরিওয়াল অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে আজ পর্যন্ত কোনও একজন কর্মচারী স্থায়ী হননি।কেজরিওয়াল সরকার ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তা পূরণ করে নি। তিনি দিল্লির রাস্তাগুলি ইউরোপীয় দেশগুলির রাস্তার মতো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু এটিও করতে পারেনি। আমি নিজেও আজ একই রাস্তা দিয়ে এসেছি, তবে ইউরোপীয় দেশগুলির কোনও রাস্তা কোথাও দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে রিঠালা ও জনকপুরী আসন থেকে বিজেপির যথাক্রমে মণীশ চৌধুরি ও আশীষ সুদকে নির্বাচনী ময়দানে নামানো হয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি শাহ বলেন, কেজরিওয়াল পাঁচ বছরে যমুনা নদী পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দিল্লির মানুষ আজ অবধি পরিষ্কার যমুনা নদীর অপেক্ষায় আছে। কেজরিওয়ালের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে নদীগুলি কীভাবে পরিষ্কার করা উচিত তা শিক্ষা নেওয়া উচিত।
শাহ আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কেজরিওয়াল বলেছিলেন যে ক্ষমতায় এলে সরকারি বাংলো আর সরকারি যানবাহন ব্যবহার করবেন না, তবে শপথ নেওয়ার পরে তারা অনেক সরকারি গাড়িতে চলাচল করছেন এবং সরকারি বাংলোয় সুবিধা নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আমি কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে দিল্লির গরিবরা কী দোষ করেছিলেন যে মোদী তাদের পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিলেন তা কেড়ে নিলেন। তিনি বলেন, আমি যদি কেজরিওয়ালের কোনও পরিকল্পনা নিয়ে আমি যদি কটাক্ষ করি, তবে তিনি সঙ্গে সঙ্গে টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানান। টুকরো টুকরো গ্যাংকে জেলে বন্দি করার অনুমতি দিচ্ছেন কিনা, তার জবাবও শাহ জনসভা থেকে চেয়েছেন। তিনি দিল্লির জনগণের কাছেও এবিষয়ে জানানোর জন্য এদিন দাবি করেছেন।