পাটনা, ২৫ জানুয়ারি (হি.স.): বোরখা পরে আসতে পারবেন না ছাত্রীরা। শনিবার এমনই নোটিস পড়ল পাটনার জে ডি ওমেনস কলেজে। কলেজের নোটিস বোর্ডে লেখা হয় কলেজ চত্বরে কোনও ছাত্রী বোরখা পরে আসতে পারবেন না। এই পোশাক বিধি ভাঙলে দিতে হবে ২৫০ টাকা জরিমানা। নোটিসে সাক্ষর করেন কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ও প্রোক্টর। ওই নোটিস পরতেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীরা। যদিও পরে নোটিসটি খুলে নেওয়া হয় বলে খবর |
বোরখা নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে সমর্থন করেন কলেজের সংস্কৃত বিভাগের প্রধান ড. অশোক কুমার যাদব। তিনি বলেন, কলেজ যে পোশাক বিধি তৈরি করেছে তা মেনেই কলেজে আসতে হবে। তা না মানলে ২৫০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
পাটনা হাইকোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী প্রভাকর টেকরিবাল জানান, আইনজীবীরা আদালতে ড্রেস কোড পালন করে। আদালতে কেউ বোরখা পড়ে আসেনা। আর এই নিয়ম কলেজেও চালু হলে, আপত্তি জাহির করা অনুচিত। এই নিয়মকে আইনেও অবৈধ বলা যাবেনা।
অন্যদিকে, কিছু মৌলানা এই নিয়মে আপত্তি জাহির করেছে। তাঁরা জানিয়েছে যে, যেহেতু নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, সেহেতু এটার বিরোধিতা হবেই। জেডি মহিলা কলেজের এই পদক্ষেপ ভুল। এই নিয়মে উপাচার্যের মানসিকতা কি বোঝা যায়। মৌলানা বলেন যে, মুসলিমদের নিশানা করেই এই নিয়ম বানানো হয়েছে। এটা সমাজকে ভাঙার কাজ চলছে।
এদিকে, ওই নোটিস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ড শ্যামা রায় বলেন, কলেজে ইতিমধ্যেই মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য একটি স্থান ঠিক করা হয়েছে। বোরখা ব্যবহারের ওপরে কোনও বিধিনিষেধ আর নেই। তবে তারা চাইলে বোরখা খুলে ক্লাসে আসতে পারেন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কলেজে একটি নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখা। বোরখা নিষিদ্ধ করার নির্দেশ তুলে নেওয়া হয়েছে।