নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি৷৷ সমাজের প্রতি চিকিৎসকদের দায়বদ্ধতা রয়েছে৷ কারণ মানবজাতি চিকিৎসকদের ভগবানের মর্যাদা দিয়েছেন৷ আজ আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে ইণ্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার দুদিন ব্যাপী ১৯তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি বলেন, নিজের মধ্যে উদ্যম, পেশাদারি মনোভাব সমাজের যে কোন ব্যক্তিকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে তেমনি এরূপ মনোভাব নিয়ে কাজ করলে চিকিৎসকরাও সমাজকে প্রভাবিত করতে পারেন৷ এরফলে সমাজে ইতিবাচক বাতাবরণ স’ষ্টি হয়৷
তাই সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইতিবাচক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, চিকিৎসকরা যে যেই জায়গায় কর্তব্যরত বা দায়িত্বে রয়েছেন রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি সামাজিক দিক দিয়েও তাঁদের দায়বদ্ধতা রয়েছে৷ চিকিৎসকদের মধ্যে অহংকার নয়, তাদের স্বাভিমানি হওয়া দরকার৷ স্বাভিমানিতাই মানুষকে জীবনের সাফল্যের শিখরে নিয়ে যায় বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা খব দ্রত বিকাশের পথে এগুচ্ছে৷ মানুষের মনোভাব পরিবর্তিত হচ্ছে৷ দায়বদ্ধতাও ব’দ্ধি পাচ্ছে৷ সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার মানসিকতা গড়ে উঠছে৷ এইগুলিই রাজ্যের উন্নয়নকে তরান্বিত করে৷ প্রব’দ্ধির হার বাড়াতেও সাহায্য করে৷ কিন্তু বিগত ৪০ বছর যাবৎ বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এই শব্দগুলি শোনা যেত৷ বর্তমানে তার পরিবর্তন হয়েছে৷ তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার ৷ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলিতে রাজ্য সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন৷ রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থায় ই-পি ডি এস-এর ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ক্ষেত্রে সারা দেশের প্রথম তিনটি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা অন্যতম৷ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির ক্ষেত্রেও অনলাইন ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ জনধন অ্যাকাউন্ট কার্যকর করা হয়েছে৷ এরফলে গরীব মহিলাদের নগদ অর্থ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সুুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা হয়েছে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোন দেশের কৃষ্টি সংস্কৃতির মাধ্যমে অন্য দেশের সাথে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠে৷ ভারতবর্ষের কৃষ্টি সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী৷ যদিও মোঘল এবং ইংরেজদের দীর্ঘ শাসনকালে এদেশের কৃষ্টি সংস্কৃতিতে আঘাত হানার চেষ্টা হয়েছিল৷ কিন্তু ভারতবর্ষের কৃষ্টি সংস্কৃতি আজও উজ্জল৷ তিনি বলেন বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্র প্রেম ভাবনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সংসদে আওয়াজ তুলেছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরও আমাদের চাই৷
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ১৯তম বার্ষিক সম্মেলনের চেয়ারপার্সন অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. মানিক সাহা, দেশের বিশিষ্ট সার্জন ডা. এস এম বালাজী৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন ডিরেক্টর ডা. এস এন চৌধুরী৷ ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন ডা. ভাস্কর রায় বিশ্বাস৷ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত একটি মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন৷ অনুষ্ঠানে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ন্যাশনাল ওরাল হেলথ প্রোগ্রাম সেল ত্রিপুরার দন্ত চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে৷