গুয়াহাটি, ২২ জানুয়ারি (হি.স.) : দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ)-এর পক্ষে ও বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আবেদনগুলোর ওপর প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ হয়েছে আজ বুধবার। আজকের শুনানি গ্রহণের দিন সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আজ অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম অচল করতে ‘টোটাল শাটডাউন’-এর ডাক দিয়েছিল এই আইনের বিরুদ্ধাচরণকারী ছাত্রসমাজ। কিন্তু ছাত্র সমাজ আহূত ‘টোটাল শাটডাউন’-এর কোনও প্রভাব পড়েনি দশটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া। তবে যেগুলোতে প্রভাব পড়েছে সেগুলোতে কেবল ছাত্রদের ক্লাস বয়কট ছাড়া বাকি সব কাজকর্ম স্বাভাবিক ছন্দে সম্পন্ন হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিরুদ্ধাচরণকারী ছাত্রদের দাবি, নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন-এর বৈধতার প্ৰশ্নে সৰ্বোচ্চ আদালতে দাখিলকৃত আবেদনগুলোর শুনানি শেষে একে যদি যথাযত বলে রায় দেওয়া হয়, তা-হলে এর বলে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এই ধারণা করে এর প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ৰসমাজ এই অঞ্চলের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের অধীনস্ত সকল মহাবিদ্যালয়ের যাবতীয় পঠনপাঠন, কাজকর্ম ‘টোটাল শাটডাউন’ অৰ্থাৎ ‘সম্পূৰ্ণ বন্ধ’ রাখার ডাক দিয়েছিল উত্তর-পূৰ্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ৰসমাজ। তারা আশা ব্যক্ত করে বলেছে, উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের খিলঞ্জিয়া (ভূমিপুত্র) জনসাধারণের ওপর ‘সিএএ’-র ধ্বংসাত্মক প্ৰভাব পড়বে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে সুপ্রিমকোর্ট।
আজ অসমের গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়, কটন বিশ্ববিদ্যালয়, ডিব্ৰুগড় বিশ্ববিদ্যালয়, তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় (সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি), অসম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেঘালয়ের শিলঙে অবস্থিত নৰ্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি, নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ ইস্টার্ন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি (নেরিস্ট) ছাড়া আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে আহূত সম্পূর্ণ বন্ধের প্রভাব পড়েনি। তবে এগুলোতে পঠনপাঠন ছাড়া বাকি সব কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিল বলে খবর পাওয়া গেছে।