আগরতলা, ২১ জানুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরায় বাম জমানায় থানার লকআপে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ, একটি ঘটনারও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পূর্বতন সরকার। কিন্তু সম্প্রতি থানার লকআপে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধীরা প্রতিবাদে বিধানসভা বয়কট করেন। তাঁদের এই আচরণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা এবং বিরোধী বিধায়কদের নিশানা করে আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথের দাবি, ওই মৃত্যুর ঘটনার কোনও দাবি ছাড়াই ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর কটাক্ষ, গতকাল বিধানসভায় বিরোধীরা নাটক করেছেন। এতে মনে হয়েছে, বাম জমানায় থানার লকআপে কোনও দিন কোনও মৃত্যু হয়নি, বিদ্রুপ করে বলেন আইনমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে আইনমন্ত্রী দাবি করেন, পূর্বতন সরকারের আমলে পুলিশের লকআপে ১৫টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এক তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে কিল্লামণি মলসুম, ২০০০ সালে পূর্ব আগরতলা থানায় ফুলকিশোর দেবনাথ, ২০০২ সালে শ্রীনগর থানায় অপু সাহা, ২০০৪ সালে জিরানিয়া থানায় বিমল দেববর্মা, ২০০৫ সালে বিলোনিয়া থানায় অমরচন্দ্র দাস, ২০০৬ রানিরবাজার থানায় হরেকৃষ্ণ দাস, ২০০৮ সালে পশ্চিম আগরতলা থানায় বিশ্বজিৎ বণিক, ২০১০ সালে খোয়াই থানায় বিকাশরঞ্জন বিশ্বাস, ২০১৩ সালে কমলপুর থানায় বীরেন্দ্র শুক্লবৈদ্য, ২০১৫ সালে কমলপুর থানায় বিনয় দেবের পুলিশ লকআপে মৃত্যু হয়েছিল।
তাঁর আরও দাবি, এছাড়াও অসংখ্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পুলিশের লকআপে। তিনি বলেন, ২০১১ সালের ২৮ মার্চ শঙ্কর ভৌমিক, ২০১১ সালের ১ মে ফজর আলি, ১৩ সালের ২৪ মে কানুলাল ঘোষ এবং ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই উপেন্দ্র দেবনাথ-এর পুলিশ লকআপে মৃত্যু হয়েছে। অথচ একটি ঘটনারও তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী কোনও বিবৃতি দেননি। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, পুলিশ লকআপে মৃত্যু কাম্য নয়। তাই সম্প্রতি পশ্চিম আগরতলা থানায় পুলিশ লকআপে মৃত্যুর ঘটনায় কোনও দাবি ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব ম্যাজিস্ট্রেটে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আসলে, গতকাল বিধানসভায় বিরোধীরা নাটক করেছেন, তোপ দাগেন আইনমন্ত্রী।