গুয়াহাটি, ২১ জানুয়ারি (হি.স.) : আগামীকাল ২২ জানুয়ারি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আবেদনগুলোর ওপর শুনানি গ্রহণ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম অচল করতে ‘টোটাল শাটডাউন’-এর ডাক দিয়েছে এই আইনের বিরুদ্ধাচরণকারী ছাত্রসমাজ।
আগামীকাল বুধবার নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন-এর বৈধতার প্ৰশ্নে সৰ্বোচ্চ আদালতে দাখিলকৃত আবেদনগুলোর শুনানি গ্ৰহণ করা হবে। এই আইনকে যদি বৈধ বলে রায় দেওয়া হয়, তা-হলে এর বলে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এই ধারণা করে এর প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ৰসমাজ ঘোষণা করেছে, আগামীকাল এই অঞ্চলের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের অধীনস্ত সকল মহাবিদ্যালয়ের যাবতীয় পঠনপাঠন, কাজকর্ম ‘টোটাল শাটডাউন’ অৰ্থাৎ ‘সম্পূৰ্ণ বন্ধ’ থাকবে। এক বিবৃতি জারি করে উত্তর-পূৰ্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ৰসমাজ আশা ব্যক্ত করেছে, শুনানিকালে সুপ্রিমকোর্ট উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের খিলঞ্জিয়া (ভূমিপুত্র) জনসাধারণের ওপর ‘সিএএ’-র ধ্বংসাত্মক প্ৰভাব পড়বে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।
সম্পূৰ্ণ বন্ধ-এর আওতায় পড়বে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়, ডিব্ৰুগড় বিশ্ববিদ্যালয়, মেঘালয়ের শিলঙে অবস্থিত নৰ্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি, তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, অসম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে অবস্থিত নর্থ ইস্টার্ন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি (নেরিস্ট)।
উল্লেখ্য, সিএএ-র বিরোধিতা এবং এর বৈধতা সম্পর্কে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিল সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু), ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ, কংগ্ৰেস নেতা জয়রাম রমেশ, আরজেডি নেতা মনোজ ঝা, তৃণমূল কংগ্ৰেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্ৰ, এআইএমআইএম-প্রধান সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েসি-সহ প্রায় হাজারখানেক ব্যক্তি ও সংগঠন। এর পর এই সব আবেদনের ওপর শুনানির দিন ২২ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছিল সর্বোচ্চ আদালত।