কাঠমাণ্ডু, ২১ জানুয়ারি (হি.স.) : নেপালে মর্মান্তিক মৃত্যু আট ভারতীয়র | বেড়াতে গিয়ে নেপালের রিসর্টে বেঘোরে প্রাণ হারান কেরলের বাসিন্দা এই আটজন । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে রিসর্টের ঘরে গ্যাস লিক করাতেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে । বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যত শীঘ্র সম্ভব মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক |
মঙ্গলবার নেপালের একটি রিসর্টে অচৈতন্য অবস্থায় আটজনকে উদ্ধার করা হয় ৷ সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ জানা গেছে, চার সন্তানকে নিয়ে ১৫ জনের একটি দলের সঙ্গে সম্প্রতি পোখরায় বেড়াতে গিয়েছিলেন দুই দম্পতি। দেশে ফেরার আগে সোমবার রাতে মকবানপুর জেলার দমনের এভারেস্ট প্যানারোমা রিসর্টে উঠেছিলেন তাঁরা। মোট চারটি ঘর বুক করা হলেও, ঠান্ডার মধ্যে দু’টি ঘরেই মিলেমিশে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
যে ঘরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে ৮ জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই রিসর্টের ম্যানেজার। তিনি জানান, ঠান্ডায় এমনিতেই ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ ছিল। তার মধ্যেই ঘর গরম করতে গ্যাস হিটার অন করা হয়েছিল। তা থেকে গ্যাস লিক করেই বিপত্তি ঘটে থাকতে পারে। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি সামনে আসতেই ওই ৮ জনকে হেলিকপ্টারে করে হ্যামস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা সকলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন পোখরার পুলিশ সুপার সুশীল সিংহ রাঠৌর। শ্বাসরুদ্ধ হয়েই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা পুলিশের। মৃতরা সকলেই কেরলের বাসিন্দা | তাঁদের মধ্যে ৪ শিশুও রয়েছে। মৃতদের পরিচয় দিতে কাঠমাণ্ডু প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে মৃতদের নাম, প্রবীণ কুমার নায়ার (৩৯), শরণ্যা (৪), রঞ্জিত কুমার টিবি (৩৯), ইন্দু রঞ্জিত (৪), শ্রী ভদ্র (৯), অভিনব সোরায়া (৯), আবি নায়ার (৭) এবং বৈষ্ণব রঞ্জিত হিসাবে শনাক্ত করা গিয়েছে।
গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ জানান, ‘‘কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি আমরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃতদেহগুলি দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকও | টুইট করে মন্ত্রক জানিয়েছে, “নেপালে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ৷ মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে দূতাবাস ৷ তাদের সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে ৷ এই মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত ৷”