হাইলাকান্দি (অসম), ১৮ জানুয়ারি (হি.স.) : দক্ষিণ অসমের হাইলাকান্দি জেলার কাটলিছড়া বিধানসভা এলাকার সীমান্তবর্তী কচুরতলে পুলিশের লোকজন নিয়ে ফের আগ্ৰাসন চালিয়েছে মিজোরামের কতিপয় সামাজিক সংগঠনের কর্মী। গত দুদিন ধরে প্রতিবেশী রাজ্যের এই সব নাগরিক মিজোরাম পুলিশের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ হাইলাকান্দির কচুরতলে অসমের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে একটি পুকুর খোদাই করছে।
তাঁর নির্বাচন এলাকা কাটলিছড়ায় আন্তঃরাজ্য সীমান্তবর্তী গ্রামে বেপরোয়া মিজো আগ্ৰাসনের খবর পেয়ে বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সাউথ আসাম রেঞ্জের ডিআইজি দিলীপ দে এবং হাইলাকান্দির পুলিশ সুপার পবীন্দ্ৰ কুমার নাথকে অবগত করে এদের প্রতিহত করার দাবি জানান। বিধায়কের কাছে ঘটনা শুনে হাইলাকান্দি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কিন্তু অসম পুলিশের দল দেখেও আগ্ৰাসনকারীরা তাদের কুকর্ম থেকে বিরত হয়নি। শনিবার বিকেলেও তারা অসম ভূখণ্ডে কচুরতলের মাটিতে পুকুর খননের কাজ চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনা সম্পর্কে বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্করের হুংকার, যদি অসম প্ৰশাসন মিজো আগ্ৰাসন রোধ করতে ব্যর্থ হয় হা-হলে তিনি তাঁর নির্বাচন এলাকার জনতাকে নিয়ে অসমের ভূমি রক্ষা করতে ঝাঁপাবেন। এ ধরনের আগ্ৰাসনকে কেন্দ্ৰ করে হাইলাকান্দি জেলার অসম-মিজোরাম সীমান্তবর্তী কচুরতলে তীব্ৰ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, হাইলাকান্দির কাটলিছড়া এলাকার অসম সীমান্তে কচুরতলে এভাবে গত ২০১৮ সালের ৫ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মিজো আগ্রাসনকারীরা অবৈধভাবে একটি ছাউনি তৈরি করেছিল। ১০ তারিখ মিজোদের তাড়াতে অসম পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ এবং পরে কয়েক রাউন্ড গুলি চালালে কয়েকজন জখম হয়েছিল। এর পর উন্মত্ত মিজো হানাদারেরা অসমবাসীর তিনটি বসতঘর ভস্ম করে দিয়েছিল। ক্ষুব্ধ জনতা মিজোদের অবৈধভাবে নির্মিত ছাউনি অবশ্য ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
প্রায় দু-বছর আগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পড়শি দুই রাজ্য সরকারের কাছে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর পর অবশ্য জল অনেকদূর গড়িয়েছিল। কিছুদিন ক্ষান্ত থাকার পর আবার অপ্রত্যাশিতভাবে মিজোরামের কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন ওই রাজ্যের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পুকুর খননে নামায় উদ্বেগ ছড়িয়ে জেলার ওয়াকিবহাল মহলে।