নয়াদিল্লি, ১৭ জানুয়ারি (হি.স.) : রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে এড়িয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জেরে কেরল সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে জবাবদিহি চাইল রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।
শুক্রবার আরিফ মহম্মদ খান জানিয়েছেন, রাজ্যপালের কর্তব্য সম্পর্কে সংবিধান স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে। সংবিধানকে সংরক্ষণ, রক্ষা ও সুরক্ষিত রেখে রাজ্যবাসীর সেবায় ও কল্যাণে নিয়োজিত থাকা এবং রাজ্যের সাংবিধানিক কাঠামো যাতে কোনও ভাবেই ভেঙে না পড়ে, সেটা দেখাই রাজ্যপালের কর্তব্য। রাজ্যপালকে অন্ধকারে রেখেই সিএএ-র মতো কেন্দ্রীয় আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে কেরল সরকার। অথচ এই আইন রাজ্যের এক্রিয়ারে পড়ে না। তা পুরোপুরি ভাবে কেন্দ্রের তালিকাভুক্ত। রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া এই সংক্রান্ত নির্দেশ রাজ্য সরকার কোনও ভাবে দিতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগে রাজ্যপালের সম্মতি নেওয়াটা রাজ্য সরকারের কর্তব্য ছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু প্রথমে রাজ্য সরকারকে জানানো উচিত ছিল। সাংবিধানিক প্রধান হওয়া সত্বেও বিষয়টি আমায় সংবাদপত্র পড়ে জানতে হয়েছে। আমি রাবার স্ট্যাম্প নই।’ কেরল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি জানিয়েছিলেন, এতে করে সৌজন্য এবং প্রোটোকল(নিয়মভঙ্গ) করা হয়েছে। হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়ে আরিফ মহম্মদ খান জানিয়েছেন, রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া রাজ্য সরকার আদৌ সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে সম্প্রতি সিএএ-র বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে কেরল বিধানসভা প্রস্তাব পাশ করিয়েছে কেরলের এলডিএফ সরকার।