কনৌজ, ১১ জানুয়ারি (হি.স.): উত্তর প্রদেশের কনৌজে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে আগুন ধরে গেল যাত্রীবাহী বাসে। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ‘অভিশপ্ত’ ওই বাসটি। ভয়াবহ এই বাস দুর্ঘটনায় ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তবে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, আরও ১০ জন যাত্রী এখনও নিখোঁজ। সৌভাগ্যবশত প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে অন্ততপক্ষে ২৫ জন যাত্রীকে। তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে কনৌজ জেলা হাসপাতাল এবং ১২ জনকে তিরবা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জন যাত্রী অক্ষত রয়েছেন।
আইজি (কানপুর রেঞ্জ) মোহিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে ফারুখাবাদ থেকে জয়পুর অভিমুখে যাচ্ছিল একটি বাস। লখনউ থেকে ১৬৮ কিলোমিটার দূরে ছিবরামাউয়ের কাছে জি টি রোডে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে আগুন ধরে যায় যাত্রীবোঝাই বাসে। সংঘর্ষের তীব্রতায় মুহূর্তের মধ্যেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। খবর পাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি বিধায়ক অর্চনা পাণ্ডে। আগুন নেভানোর পাশাপাশি ‘অভিশপ্ত’ ওই বাসের ভিতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনায় ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কনৌজের জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ২৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়, প্রত্যেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। বাসের ভিতরে মোট কতজন যাত্রী ছিলেন তা এখনই বলা সম্ভব নয়। যাত্রীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আইজি (কানপুর রেঞ্জ) মোহিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে অন্ততপক্ষে ২৫ জন যাত্রীকে। তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে কনৌজ জেলা হাসপাতাল এবং ১২ জনকে তিরবা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জন যাত্রী অক্ষত রয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের| ১০ জন জন যাত্রী নিখোঁজ, সম্ভবত তাঁদেরও মৃত্যু হয়েছে। সর্বত্র হাড় ছড়িয়ে রয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষার পরই মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।
ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা প্রমুখ। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিহতদের পরিবারপিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। উত্তর প্রদেশ সিএমও সূত্রের খবর, নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।