আগরতলা, ৮ জানুয়ারি (হি.স.) : ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ভারত বনধ ত্রিপুরায় সর্বাত্মক সফল হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধে শামিল হয়েছেন। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করেন সিআইটিইউ (সিটু)-এর ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে। তিনি আজ জোর গলায় বলেন, বনধে সাড়া মিলবে মানুষের মেজাজ দেখে আগেই অনুমান হয়েছিল। কারণ, দেশ ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে প্রতিবাদ হোক মানুষ চেয়েছিলেন।
মানিক দে এদিন আগাগোড়া কেন্দ্রীয় সরকার এবং ত্রিপুরা সরকারের পাশাপাশি বিজেপি-র সমালোচনায় সুর চড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়নগুলির নেতাদের বিভিন্ন দাবি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী শুধু শুনেছেন। কিন্তু কোনও মন্তব্য করেননি। এমন-কি দাবি পূরণের আশ্বাসও দেননি। তাঁর আক্ষেপ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশে যাওয়ার সময় পান। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের সমস্যা শোনার সময় তিনি পান না। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার পুঁজিপতিদের তল্পিবাহক, তাঁদের কাছে শ্রমজীবীদের কোনও মূল্য নেই।
মানিক দে-র কথায়, ট্রেড ইউনিয়নের বনধে সারা দেশে প্রভাব পড়েছে। ত্রিপুরায়ও বনধ সর্বাত্মক সফল হয়েছে। তাঁর দাবি, সমস্ত ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মানুষ বনধকে সফল করেছেন। এজন্য ইচ্ছে করেই আমরা পিকেটিং করিনি, দাবি করেন মানিক দে।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরার অধিকাংশ স্থানে দোকানপাট স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। যানবাহন চলাচল করেনি। তাতে স্পষ্ট, এই বনধে মানুষের নৈতিক সমর্থন ছিল। তাঁর কটাক্ষ, ভয় দেখিয়ে মানুষকে বেশিদিন দাবিয়ে রাখা যায় না। আজ ত্রিপুরার মানুষ ভয়মুক্ত হয়ে বনধে শিমিল হয়েছেন।
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরা সরকার হুলিয়া জারি করে সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজে শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চেয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ অফিসগুলি আজ কার্যত বন্ধ ছিল। তাঁর কথায়, ব্যাঙ্ক, পোস্টঅফিস, বিমা, বিএসএনএল আলাদাভাবে বনধ ডেকেছে। স্বাভাবিকভাবেই, ওই অফিসগুলিতে কর্মচারীরা আজ বনধ-এ শামিল হয়েছেন।