ট্রেড ইউনিয়ন আহূত বনধ-এর বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় বিজেপির মিছিল ও সভা, শান্তি বজায় রাখার আবেদন শাসকদলের

আগরতলা, ৭ জানুয়ারি (হি.স.) : আগামীকাল ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা বনধ-এর বিরোধিতা করে মঙ্গলবার ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও পথসভা করেছে বিজেপি। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি-র প্রদেশ কমিটির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর কাছে আহূত বনধ প্রত্যাখানের আবেদন জানান। সাথে বনধকে ঘিরে ত্রিপুরার শান্তি বিঘ্নিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, আজ কৈলাসহরে আহূত বনধকে ঘিরে মিছিল পাল্টা মিছিলে বিজেপি এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। অবশ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, ত্রিপুরা সরকার আগামীকাল সমস্ত অফিস, স্কুল, কলেজ এবং সরকার অধিগৃহীত সংস্থাগুলি খোলা রাখতে এবং সমস্ত কর্মচারীদের নিজের নিজের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারি সারা দেশের সাথে ত্রিপুরায়ও বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন বনধ ডেকেছে। ওই বনধকে বিরোধী সিপিএম সমর্থন জানিয়েছে। বনধের বিরোধিতা করে গতকাল থেকেই সারা রাজ্যে প্রচার চালিয়েছে শাসক দল বিজেপি। আজ ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে শাসকদলের কর্মীরা সভা ও মিছিল করে বনধের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন।

এদিন বিজেপি-র প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়াই বামপন্থীদের একমাত্র উদ্দেশ্য। তাই বনধ-এর মাধ্যমে আবারও ত্রিপুরা-সহ গোটা দেশকে লোকসানের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাঁরা। তিনি বলেন, দেশ ও জাতির ক্ষতি হবে এমন কোনও আন্দোলনকে বিজেপি সমর্থন করে না। তাই বনধ-এর বিরোধিতা করে টানা দুদিন ধরে সারা ত্রিপুরায় প্রচার চালানো হয়েছে। এমন-কি, আগামীকালও বনধ-এর বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নামবেন। তিনি ত্রিপুরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানান, বনধকে ঘিরে রাজ্যের শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে, আজ ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে আগামীকালের বনধকে ঘিরে মিছিল পাল্টা মিছিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। এদিন বিকেল চারটায় বিজেপি শ্রীরামপুর থেকে বনধ-এর বিরোধিতা করে মিছিল শুরু করে। পুরনো মোটর স্ট্যান্ডের সামনে এসে বিজেপি কর্মীরা পথসভায় মিলিত হন।

অন্যদিকে বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিপিএম বনধ-এর সমর্থনে মিছিল বের করে। তাতেই দেখা দেয় বিপত্তি। দুই দল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পরে। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠায় বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রাণের ভয়ে পালাতে শুরু করেন। অবশ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যেই নিমন্ত্রণে চলে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপিকে মিছিল ও পথসভা করার জন্য বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল এবং সিপিএমকে দেওয়া হয়েছিল বিকেল পাঁচটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *