নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জানুয়ারি৷৷ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এনজিও-সহ অন্যান্যদের সাথে আগামী ১৯ জানুয়ারি শিলঙে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে মিলিত হতে পারেন৷ এমনটা জানতে পেরেছেন আইপিএফটি-র সাধারণ সম্পাদক তথা ত্রিপুরার উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া৷ তাঁর কথায়, ওই বৈঠকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হলে রাজ্যের সমস্যাগুলি সবিস্তারে আবারও তুলে ধরা হবে৷ তাঁর বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চয়ই রাজ্যের সমস্যাগুলি গুরুত্ব সহকারে দেখে সেগুলি সমাধানের জন্য বিবেচনা করবে৷
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে৷ বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিজেপি’র শরিক দলগুলিও এই আইনের বিরোধীতায় ক্রমাগত প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷ রাজ্যেও বিজেপি জোট শরিক আইপিএফটি এই আইনের বিরোধীতায় আন্দোলনে নেমেছে৷ দলের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, ২০১৬ সাল থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে আন্দোলন করছে আইপিএফটি৷ তা এখন আইনে পরিণত হয়েছে৷ তাঁর দাবি, আইনটি দেশবাসীর জন্য ক্ষতিকারক৷ এতে জাতি-উপজাতি উভয় অংশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন৷ তাঁর দাবি, সিএএ রাজ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে৷
মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত-ঘেঁষা রাজ্য হওয়ায় ক্রমাগত অনুপ্রবেশ ঘটছে৷ ইতিমধ্যে রাজ্যে একাধিকবার অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তাই বিজেপি’র শরিক দল হয়েও এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে হয়েছে৷ তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সিএএ’র প্রভাবে রাজ্যের সমস্যাগুলি জানানো হয়েছে৷ তিনিও আমাদের সমস্যা নিয়ে ওয়াকিবহাল বলে জানিয়েছেন৷ মেবার কুমার জমাতিয়ার বক্তব্য, এই আইন রাজ্যে চালু হলে এখানে জনসংখ্যা আরও অনেক বাড়বে৷ এতে উপজাতিরা জনসংখ্যার নিরিখে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন৷ তাঁর মতে, ওই সব সমস্যার স্থায়ী সমাধানেই এডিসি এলাকা নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবী জানাচ্ছি৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এই বিষয়ে আমাদের সাথে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷
মেবারবাবু জানান, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কথা শুনবে বলে জানতে পেরেছেন৷ তিনি বলেন, সরকারীভাবে এখনও চিঠি পাইননি৷ তবে আগামী ১৯ জানুয়ারি শিলঙে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাজনৈতিক দল, এনজিও-সহ অন্যান্যদের সাথে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিনিময় হওয়ার কথা৷ তাঁর কথায়, ওই বৈঠকে রাজ্যের সমস্যাগুলি আবারও তুলে ধরব আমরা৷ তাঁর বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্যের সমস্যা সমাধানে বিবেচনা করবে৷