কলকাতা, ৩ জানুয়ারি (হি.স.): আমি হিন্দুস্তানি ছিলাম হিন্দুস্তানি হয়েই সিএএ, এনআরসি বাতিলের কথা বলে যাব। গণশক্তির ৫৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে এমনই হুংকার দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্য কমিটির সম্পাদক ইউসুফ তারিগামি।
এদিন কাশ্মীরের দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা নিয়ে ধিক্কার জানান কেন্দ্রীয় সরকারকে। এদিন তারিগামি বলেন, “দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়েছে। যাতে রাজ্যের খবর কাশ্মীরের পৌঁছাতে না পারে তার জন্যই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা পড়াশোনা করছে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা দেবে বলে ভাবছে তারা ফর্ম ফিলাপ করতে পারছে না। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। পুরো কাশ্মীরের একটা বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীরকে ইচ্ছে করে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কাশ্মীরকে বরবাদ করে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের যেটুকু সৌন্দর্য বেঁচে রয়েছে তাকেও নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। ভূস্বর্গকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
হঠাৎ করে কাশ্মীরকে জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর কেন বলছে কেন্দ্র সরকার তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইউসুফ তারিগামি। অপরদিকে তিনি কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, কাশ্মীরের সাংসদদের না জানিয়ে সেখানে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সাংসদরা তাদের দলের মাথার উপর কোন কথা বলতে পারছেন না।” সাধারণ মানুষকেও ৩৭০ধারা নিয়ে ভুল বোঝানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে এদিন রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, “আগামী ৮ জানুয়ারি ট্রেড ইউনিয়ন যে সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে তাকে সমর্থন করুন।” সূর্যবাবু অভিযোগ করে জানান, “৩৬৫ দিন যে কারখানাগুলো বন্ধ রয়েছে সেগুলিকে খোলার দাবিতে একদিন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে সবাই ধর্মঘটে সামিল হন।”