কথা রাখেনি বাম সরকার, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২৮ ডিসেম্বর৷৷ বিগত বাম সরকারের আমলে গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষকে দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির খেসারত দিতে হচ্ছে বর্তমান রাম আমলের নেতৃত্বদের৷তবে সাধারণ মানুষকে ফুসলিয়ে হলেও রাজ্যের গ্রামীণ শিক্ষা ব্যবস্থাকে অগ্রগতিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রাজ্যের পাহাড় সমতল সর্বত্রই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার তৈরীর প্রয়াস করেছিল বিগত বাম সরকার৷


কিন্তু তাদের দেওয়া বিভিন্ন মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফলে আজ দিশেহারা বহু মানুষ৷এমনই এক চিত্র ফুটে উঠল উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকের অধীন সাউথ প্রিয়ারাছড়া চার নং ওয়ার্ডের এম পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের৷দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছর পূর্বে ময়মুন নেছা স্বামী মৃত ইনসাফ আলী শর্ত মোতাবেক উনার বসতবাড়ি থেকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার তৈরীর জন্য জায়গা দিয়েছিলেন৷কথা ছিল উনার বাড়িতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরি হলে উনার মেয়ে দুজনকে ওই গ্রামীণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেওয়া হবে৷সেই শর্ত অনুযায়ী নিজেদের সামান্য বসতভিটে থেকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার তৈরির জন্য কোন রেজিস্ট্রি ছাড়াই জমি দিয়েছিলেন ময়মুন নেছা এবং তার পরিবার৷


কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই পরিবারের কাউকেই কোন সুযোগ সুবিধে করে না দেওয়ায় একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছে দিন আনতে পান্তা ফুরায় অসহায় ওই পরিবারটি৷বিগত দিনে কদমতলা সিডিপিও দপ্তরে বিষয়টি নিয়ে বারবার অবগত করলেও জেগে ঘুমোচ্ছেন দপ্তরের কর্মকর্তারা৷অভিযোগ ভূমিদাতা ময়মুন নেছার পরিবারের৷পূর্বে বেশ কয়েকবার তারা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার তালাবদ্ধ করলেও স্থানীয় নেতৃত্বদের আশ্বাসে পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খোদ ময়মুন নেছা৷এবার রাজ্যে নতুন সরকারের আমলেও সেই একই প্রতিশ্রুতির কয়েকবার অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটিতে তালা বন্ধ করলেও বর্তমান সরকারের কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের পুনঃ আশ্বাসে ও গ্রামের খুদে শিশুদের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পুনরায় খুলে দেওয়া হয় ওই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি৷


ভূমিদাতা ময়মুন নেছা বলেন এবার মায়াবী সরকার ত্রিপুরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাই উনার দৃঢ় বিশ্বাস এই সরকারের আমলে এবং উনার শেষ বয়সে একটি আশার আলো দেখতে পাবেন৷অন্যতায় সাউথ পিয়ারাছড়া মধ্যপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে৷তবে বর্তমান সরকারের উপর পুরো আস্থা রয়েছে ভূমি দাতা ওই মহিলার৷এদিকে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন গ্রামের বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য মুজিবুর রহমান৷এখন দেখার বিষয় রাজ্যের বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার এ বিষয়ে কি ভূমিকা গ্রহণ করে৷