নয়াদিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বিক্ষোভের নিন্দায় সরব হলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের অসন্তোষ না চেপে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, নেতা তারাই যারা সঠিক পথে চালিত করে ও সঠিক পরামর্শ দেন। ভুল পথে মানুষদের চালিত করা ব্যক্তি নেতা নন। যে ভাবে বিপুল সংখ্যার ভিড়কে বিভিন্ন শহর, নগরে অগ্নিসংযোগ এবং হিংসাত্মক কার্যকলাপে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই সকল নেতাদের কোনও ভাবেই নেতা বলা চলে না। এদিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের পড়ুয়াদের হিংসাত্মক আন্দোলন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নেতৃত্ব প্রদানের সব থেকে কঠিন দিক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটা খুবই জটিল। কারণ এক ব্যক্তি যখন নেতৃত্ব দেয়। তখন তাকে বহু মানুষ অনুসরণ করে চলে। বিষয়টি যতটা সহজ মনে হয়, ততটা নয়। ভিড়ের মধ্যেও নেতৃত্ব দেওয়ার মতো লোক রয়েছে। ভুল পথে চালিত করাটা প্রকৃত নেতার কাজ নয়।
প্রবল ঠাণ্ডায় সিয়াচেনে কর্তব্যরত সেনা জওয়ানদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আজকে এই সভায় ঠাণ্ডা থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেকে সোয়েটার, কোট, মাফলার, টুপি পরে এসেছেন। কিন্তু আজ আমি সেই সকল সেনা জওয়ানদের কথা বলব যারা নিষ্ঠা সহকারে সিয়াচেন গ্লেসিয়ারে সেলতোরা রিজ, মুশকো, গুরেজ, তাংদ্বার, লীপা উপত্যকা, উরি সেক্টরে যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ থেকে মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেখানে তাঁরা দেশের সীমানাকে রক্ষা করে চলেছে। লাদাখের পূর্ব প্রান্তে যেখানে হাওয়ার মধ্যে বরফ থাকে সেখানে দাঁড়িয়ে কর্তব্য পালন করে চলেছে সেনা জওয়ানরা।’
উল্লেখ করা যেতে পারে সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এই আইনের বিরোধিতা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ট্রেন।