BRAKING NEWS

এনপিআর পুনর্নবীকরণে ছাড়পত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

নয়াদিল্লি, ২৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার(এনপিআর) পুনর্নবীকরণের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি ২০২১ সালের জনগণনারও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(সিএএ) ও এনআরসি নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল তখন মঙ্গলবার ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার তথা জনসংখ্যা পঞ্জি প্রস্তুতির অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এনপিআর-এর জন্য কোনও বায়োমেট্রিক তথ্য লাগবে না। অর্থাৎ আঙুলের ছাপ, চোখের রেটিনার ছবি প্রয়োজন হবে না। জন্ম পরিচয়, বাড়ির ঠিকানার প্রমাণ পত্র ইত্যাদি কোনও নথিও লাগবে না। মানুষ স্বেচ্ছায় যে তথ্য দেবে তাই গ্রহণ করবে সরকার। কোনও ব্যক্তি চাইলে সরকারের মোবাইল অ্যাপ খুলে তাতে তথ্য জমা দিতে পারেন। এ জন্য সরকার একটি মোবাইল অ্যাপও তৈরি করেছে। তা ছাড়া আগে ফর্ম ছিল তা আরও সরল ও ছোট করা হয়েছে। কেউ চাইলে মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে তথ্য জমা দিতে পারেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, “এ ব্যাপারে দেশের জনতার উপর সরকারের আস্থা রয়েছে।”

এদিন জাভরেকরের কথাতেই বোঝা যায় যে এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে তা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। তাই এনপিআর নিয়ে নতুন করে যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় সে জন্য সরকার খুবই সতর্ক। সম্ভবত সেই কারণেই এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ জাভরেকর অন্তত দশবার বলেন, এনআরসি আর এনপিআর এক নয়। তাদের মধ্যে দূর দূর থেকে কোনও সম্পর্ক নেই। এনআরসি হল নাগরিক পঞ্জি। আর এনপিআর হল জনসংখ্যার পঞ্জি। এনপিআর-এর কাজ দশ বছর আগে ইউপিএ জমানাতেও হয়েছিল। সেটা ভাল কাজ। সেটাই ফের করছে মোদী সরকার। দশ বছর অন্তর জনগণনার কাজ হয়। সেই সূত্রেই এনপিআর-এর কাজ হচ্ছে। সরকার কোনও অতিরিক্ত তথ্য চাইছে না। নাম, ধাম, বাসস্থান ইত্যাদি খুবই সাধারণ তথ্য জানতে চাইছে। জনগণনার জন্য এরকম ভাবে তথ্য সংগ্রহ এর আগে বহুবার হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়।

জানা গিয়েছে এনপিআর করার জন্য খরচ হবে ৮৫০০ কোটি টাকা। এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অর্থনৈতিক মহলে। একইসঙ্গে কূটনৈতিক মহলের মতে, সেনসাসের অন্তর্ভুক্ত এনপিআর আসলে এনআরসি লাগুর প্রথম পদক্ষেপ। সেনসাস কমিশনের ব্যাখ্যা, এনপিআর–এর আসল উদ্দেশ্য, দেশের প্রত্যেক ‘ইউজুয়াল রেসিডেন্ট’ বা সেই সব নাগরিক, যাঁরা ৬ মাস বা তার বেশি কোনও একটি জায়গায় বসবাস করেছেন বা করবেন, তাঁদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয়ের তথ্যভান্ডার তৈরি করা।

অন্যদিকে এদিন, দিল্লির মান্ডি হাউজেও ১৪৪ধারা জারি করা হয়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ ঢেকাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দিল্লির এই এলাকায় বড়সর মিছিল বের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেই মিছিল যাতে এগোতে না পারে বা বিক্ষোভকারীদের জমায়েত না হয়, তার জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। এলাকায় রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *