নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর৷৷ আজ বাংলাদেশের ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস৷ এই উপলক্ষ্যে বিজয় দিবস আজ আগরতলাতেও পালিত হয়েছে৷ আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন অফিসে মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ত্রিপুরার রাজ্যপাল রমেশ বৈস পোস্ট অফিস চৌমুহানিস্থিত শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন৷ সন্ধ্যায় বিজয় দিবসের তাৎপর্য্য নিয়ে আলোচনা এবং এরপর সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সমাপ্তি হয়েছে৷

আজ সকালে আগরতলায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সূচনা করেন সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা৷ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ত্রিপুরা এবং ভারতের অবদানের জন্য সমগ্র দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ সাথে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে৷ দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের প্রশ্ণে অনেক দূর এগিয়েছে৷ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ণের পথে অনেক দূর এগিয়েছি৷ তবে, আরও অনেক দূর যাওয়া বাকি রয়েছে৷
বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সকালে রাজ্যপাল রমেশ বৈস পোস্ট অফিস চৌমুহনীস্থিত শহীদ বেদীতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন৷ সে সময় আরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়৷ এই উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল শ্রী বৈস বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যরা অংশগ্রহণ করেছিলেন৷ এই দেশকে স্বাধীন করতে অনেক ভারতীয় সৈন্য তাদের জীবন উৎসর্গও করেছেন৷
আজকের দিনে তাঁদের সেই বীরত্ব ও সাহসিকতাকে সকলের মরণ করা উচিত৷ এই অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মী সান্তনা চাকমা, বাংলাদেশের আগরতলাস্থিত অ্যাসিস্টেন্ট হাই কমিশনার কার্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট হাইকমিশনার কিরীটি চাকমাও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ ও পুপার্ঘ অর্পণ করেন৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সৈনিক কল্যাণ বোর্ডের অধিকর্তা অবসরপ্রাপ্ত বিগেডিয়ার জে পি তিওয়ারী, রাজ্যপালের অতিরিক্ত সচিব রত্নজিৎ দেববর্মা, পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক তপন দাস প্রমুখ৷

