নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ০৬ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার আজ দাবি করেছেন যে বাবরি মসজিদের রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান লঙ্ঘন করেছে৷

এদিন আগরতলায় ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীসরকার বলেন যে বাবরি মসজিদ ভেঙে যাওয়ার পরে লোকেরা রাম মন্দির নির্মাণের দাবি উত্থাপন শুরু করে৷ সংঘ পরিবার এটি করেছে এবং তারা ত্রিপুরায় ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে এবং একটি অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেছে৷
সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছিল বিচারপতি রঞ্জন গোগোই এবং তার পাঁচ-বিভাগীয় বেঞ্চ দ্বারা৷ রাম মন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট তৈরি করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ এই মামলার শুনানি চল্লিশ দিন চলেছিল৷ মানিক সরকার বলেন, আমরা একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেছি৷ বাবরি মসজিদ ধবংসের আগে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল, আর সেটা সংঘ পরিবার সৃষ্টি করেছে৷
মানিক সরকার আরও দাবি করেছেন যে বাবরি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত ন্যায়সঙ্গত নয়৷
শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে যে ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে মোগল আমলে অযোধ্যায় একটি মসজিদ ছিল এবং মুসলমানরা এতে নামাজ পড়ত৷ কিন্তু ১৯৪৭ সালের পরে সমস্যার কারণে এখানে মুসলমানরা প্রার্থনা করতে পারেনি৷ ১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ৫০-৬০ জন অমুসলিম লোক ঈশ্বরের প্রতিমা স্থাপন করেছে৷ অমুসলিম জনগণ ভুল কাজ করেছে এটা, দাবি মানিক সরকারের৷
মানিক সরকার আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে যে মসজিদটি খালি জমিতে নির্মাণ করেনি৷ সেখানে হিন্দুদের কিছু কাঠামো ছিল কিন্তু তারও কোনও বৈধ তথ্য নেই৷
এ জাতীয় সব কথা বলার পরে কীভাবে শীর্ষ আদালত রাম মন্দির তৈরি এবং মুসলিমদের ৫ একর জমি দেওয়ার জন্য একটি ট্রাস্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কিভাবে? তাঁরা এটি উল্লেখ করেনি৷ তাঁরা আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে৷ শীর্ষ আদালত কীভাবে সরকারকে রাম মন্দির বা মসজিদের জন্য জমি দেওয়ার নির্দেশনা দিতে পারেন৷ আমাদের সংবিধানে এটি উল্লেখ করা হয়েছিল যে সরকার ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷

