নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর৷৷ ত্রিপুরা ও আসাম সীমান্তের লোয়াইরপোয়ায় দুটি পৃথক দূর্ঘটনায় তিন জন নিহত এবং আটজন গুরুতর আহত৷ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে৷ বুধবার দিনটি অপয়া হয়ে থেকে গেল বৃহত্তর অসম ত্রিপুরা সীমান্তের লোয়াইরপোয়া বাসির কাছে৷ এদিন সকালে লোয়াইরপোয়া এলাকায় পৃথক পৃথক ভাবে দুটি মর্মান্তিক যান দুর্ঘটনায় চালক সহ চালক সহ তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ এতে আহত হয়ে অন্য সাতজন বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা পড়ছে৷

সমূহ ঘটনায় এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ ঘটনার পর বাজারিছড়া পুলিশ তদন্তে নেমে আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি নিহতদের ময়না তদন্তের বস্যগ্যবস্থা সহ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলোকে নিজেদের জিম্মায় নিহতে সক্ষম হয়েছে৷ প্রথম ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে স্থানীয় সলগই বাজার লাগোয়া আট নং জাতীয় সড়কের এবিসিই ক্যাম্প সংলগ্ণ এলাকায়৷ এতে লঙ্কা থেকে ত্রিপুরার কৈলাসহরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়া টিআর ০৫ বি ১৯০৩ নম্বরের একটি সবজি বোজাই মিনি ট্রাক দুর্ঘটনার কবলে পড়লে একজনের মৃত্যু সহ আহত হন অন্য দুজন৷
এ মর্মে প্রত্যক্ষদর্শী জনগণ জানান ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার কাকভোর পেঁছাটা নাগাদ৷ লরিটি সলগই বাজার এলাকায় প্রবেশের মুখে কুয়াশার জন্য মরিচিকায় আচ্ছন হয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য এক লরিতে সজোরে ধাক্কা দিলে সবজি বোঝাই লরিটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে গড়িয়ে পড়ে৷ এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে লরির সহ-চালকের৷ তার নাম সমসু মিয়া (১৮)৷ পিতার পিতার নাম মহরম আলী৷ বাড়ি ত্রিপুরার কৈলাসহরে৷ এতে গুরুতর আহত হন লরি চালক ও লরির মালিক যথাক্রমে আসাদুর রহমান (৩৫) ও আজির উদ্দিন (৩৬)৷ উভয়ের বাড়ি কৈলাসহরে৷
মৃতদেহ করিমগঞ্জে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণের পাশাপাশি আহত দুজনকে জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণের পাশাপাশি আহত দুজনকে জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে৷ তাদের অবস্থা সংকটজনক বলে খবর পাওয়া গেছে৷ এদিকে ঘটনার পর মৃত সহ-চালকের পরিবারের লোকেরা ও মৃতের ভাই জয়নুল হক অকুস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ চিহ্ণিত করে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷
এদিকে অপর ঘটনাটি ঘটেছে এদিন সকাল সাতটায়৷ মোট সাতজন রোগী নিয়ে এএস, এসি(দুই আট আট চার) নম্বরের একটি অটো রিক্সা ত্রিপুরা চোরাইবাড়ি থেকে মাকুন্দা লেপ্রসী কাম জেনারেল হসপিট্যালে পৌঁছার পথে লোয়াইরপোয়া মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ণ স্থানের আট নং জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ গুয়াহাটি থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া দ্রুত গামি এনএল (শূন্য এক কিউ (সাত নয় তিন চার) নম্বরের কন্টেইনার গাড়ি অর্তকিতে যাত্রী বোঝাই অটোটিকে ধাক্কা দিলে যাত্রী বোঝাই অটোটি সড়কে পাল্টি খেয়ে গড়িয়ে পড়ে৷ এতে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আহতদের তড়িঘড়ি মাকুন্দা হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ এদের মধ্যে রয়েছেন অটো চালক আব্দুল মতিন (২২) পিতার নাম রমজান আলী৷ বাড়ি কাঁঠালতলির বালুরবন্দ গ্রামে৷ অন্য মৃতের নাম রিয়াজ আলী (৪৫) পিতার নাম আলা উদ্দিন৷ বাড়ি উঃ ত্রিপুরার দক্ষিণ ফুলবাড়ি গ্রামে৷ উক্ত ঘটনায় অন্য আহত পাঁচ যাত্রীদের নাম জানা যায়নি৷ তবে তারা প্রত্যেকে বর্তমানে স্থানীয় মাকুন্দা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷

